ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারি হাসপাতাল

নেই কুকুর, বিড়াল ও সাপে কাটা রোগীর ভ্যাকসিন

নেই কুকুর, বিড়াল ও সাপে কাটা রোগীর ভ্যাকসিন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কুকুর-বিড়ালের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ। পৌর এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় কুকুর। অনেক সময় পথচারী সাধারণ মানুষের উপর কুকুর বিড়াল আক্রমণ করে কামড় দিচ্ছে। কিন্তু কুকুর-বিড়ালের কামড় ও আঁচড় খেয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) পাচ্ছেন না। হাসপাতালে প্রতিষেধকের সংকটে একদিকে রোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না অপরদিকে তারা ভোগান্তির শিকারও হচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত রোগীদের বলা হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য। ৭ মাস আগে একদিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কালীগঞ্জ শহরে এক পাগলা কুকুর প্রায় ৫০ জনকে কামড় দিয়ে আহত করে। আহতরা কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সে সময়ও মেলেনি কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন।

কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মাসুদ রানা জানান, ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে থেকে ১১৬টি এবং ২৮ নভেম্বর মহাখালী ঢাকা থেকে সরকারি ৩০০ পিস কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন (র‌্যাবিক্স ভিসি) হাসপাতালে আসে। ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কালীগঞ্জ হাসপাতালের সব কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যায়। তবে কুকুরে কামড়ানো রোগীর গভীর ক্ষতের জন্য ৫০টি র‌্যাবিক্স আই জি ভ্যাকসিনের মধ্যে এখনো স্টকে রয়েছে ৪৬টি ভ্যাকসিন। অপরদিকে সাপে কাটা রোগীর জন্য এন্টিভেনম নামক ২০ ফাইল ভ্যাকসিন হাসপাতালে রয়েছে যা মেয়াদোত্তীর্ণ। বলিদাপাড়ার বাসিন্দা ইয়াহিয়া খান বলেন, কুকুরের উৎপাতে রাস্তা দিয়ে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠালে কুকুরের ভয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। চাপালি গ্রামের সোলেমান হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে আমার হাতে বিড়াল আঁচড় দিয়েছিল। আমি ভ্যাকসিনের জন্য কালীগঞ্জ হাসপাতালে যাই, কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানাল তাদের কাছে নাকি কুকুর-বিড়ালে কামড়ানো প্রতিষেধক নেই।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, আজ থেকেই কুকুর-বিড়ালে কামড়ানো ভ্যাকসিন কালীগঞ্জ হাসপাতালে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত