নৌকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পিরোজপুর ও কাউখালী প্রতিনিধি

সন্ধ্যা নদী তীরের সুবিধাবঞ্চিত জেলে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নদীবক্ষে ভাসমান নৌকায় পাঠদান এ কার্যক্রম। সবই হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পিরোজপুরের কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও কাউখালী প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ খসরুর উদ্যোগে এ পাঠদান কার্যক্রম চলছে। শিক্ষাদানের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সন্ধ্যা নদী তীরবর্তী আশ্রয়ণস্থল আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমূল শিশু যারা বয়স্কদের জেলে নৌকায় মাছ ধরার কাজে সহায়তা করে তাদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ভাসমান নৌকায় তিনি এ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, কাউখালীতে ২০০৯ সালে উপজেলা সদরে ষাটোর্ধ আব্দুল লতিফ নিজ ভবনে উপজেলার গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রতিবন্ধীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও তাদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন প্রতিবন্ধী স্কুল। গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দূরদূরান্তের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরের আবাসনে যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে, যেসব শিশু বয়স্কদের জেলে নৌকায় মাছ ধরার কাজে সহায়তা করতে গিয়ে শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে। তাদের শিক্ষার আলো দিতে তিনি এ সামাজিক উদ্যোগ নেন। কাউখালীর সন্ধ্যা নদী তীরবর্তী চরের আমরাজুড়ী আবাসন প্রকল্পে আশ্রিত শিশুদের সপ্তাহে দুই দিন তিনি পাঠদান করে আসছেন। আব্দুল লতিফ জানান, চরবাশুরী আশ্রয়ণ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত এসব দরিদ্র শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাই তাদের প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে এ পাঠদানের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে শিশুরা আনন্দ পাচ্ছে পাশাপাশি তারা আমাদের ভাষা ও বর্ণমালা কিছুটা হলেও শিখতে পারছে। কাউখালী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ মিল্টন বলেন, খসরু ভাই দীর্ঘদিন ধরে এই জনপদের প্রতিবন্ধী ও জেলে শিশুদের নিয়ে নানারকম ব্যতিক্রমী কাজ করে আসছেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুর শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগটি মহতী উদ্যোগ বলে মনে করি। কাউখালীর সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পল্টন বলেন, প্রতিবন্ধীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে খসরু ভাইয়ের এ উদ্যোগ প্রসংশনীয়।