লোডশেডিংয়ে নাকাল এলাকাবাসী

পচন ধরেছে ফ্রিজের খাদ্যসামগ্রীতে

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তীব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনরাত কয়েক দফায় ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অতি কম থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্যামনগর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় লাখের ঊর্ধ্বে আবাসিক, বাণিজ্যিক, সেচ ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ থেকে ২০ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যায় ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট। এদিকে কয়েক দিন ধরে শ্যামনগরে তাপমাত্রা বেড়েছে। দিনে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করে। শ্যামনগর সদরের মোহম্মাদিয়া হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক কেজি মাছ মাংস কিনে ফ্রিজে রেখেছিলাম ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের কারণে সব পচে গেছে। বড় ধরনের লোকসানে পড়ে গেছি। শ্যামনগরে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জোবেদা সোহরাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, বিদ্যুতের লুকোচুরির কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসতে পারছে না। গোবিন্দপুর গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা বেগম বলেন, দীর্ঘ সময় পরপর বিদ্যুৎ আসার কারণে ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাহমুদপুর গ্রামের দিনমজুর সাবের বলেন, সারা দিন রোদে মাটি কাটার কাজ করি রাতে কোনো রকম দুটো খেয়ে ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। সারা রাত তো ঘুম হারাম হয়ে যায় দিনে কীভাবে কাজ করব আর কীভাবে ছেলে-মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেব। বংশীপুরের সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান বলেন, রাতে-দিনে অন্তত ৩০বার বিদ্যুৎ যায় আর আসে। ফ্রিজের সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিনে দুই দফা ফ্রিজ নষ্ট হয়েছে। মেরামত করে এনেছি এখন বন্ধ করে রেখেছি। শ্যামনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, হঠাৎ গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় অর্ধেকের কম। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।