দুমকীতে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দুমকী (উপজেলা) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘুর জমিতে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাতানী গ্রামে গত ২ জুন দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড, ২০নং তৌজির জেএল নং-৫১-এর ৩৫২ নং খতিয়ানের ৪০০, ৪৩৭ ও ৪৬২ দাগের পৈত্রিক সূত্রে মালিক বনমালী শীল। তার ভাতিজা দুলাল শীলের ছেলে রাধেশ্যাম শীল অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাতো দাদা বনমালী শীল ১৯৭৭ সালে ভারত চলে গেলে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে ওই জমি আমরা ভোগদখল করে আসছি। একই এলাকার আ: লতিফ হাওলাদার গং একটি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ওই জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। সেই সূত্রে গত ২ জুন দিবাগত রাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে মৃত- আ: লতিফ হাওলাদারের উত্তরসূরীরা একটি নতুন ঘর নির্মাণ করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে আ: লতিফ হাওলাদারের মেয়ে মাহিনূর বেগম বলেন, আমার বাবা আ: লতিফ হাওলাদার ও স্বামী সেলিম হাওলাদার ১৯৯৪ সালে ওই জমিটি বনমালীর কাছ থেকে ক্রয় করলে তা আমরা এত দিন ভোগ-দখল করে আসছি। কিন্তু বীরবল শীল ওরফে বিমল শীল ও রাধেশ্যাম শীলসহ বিভিন্ন লোকজন মারফত আমাদের হুমকি-ধামকি দিলে আমরা দুমকী থানায় একটি অভিযোগ করি। পরে ওই জমিতে তারা যেন অনুপ্রবেশ না করতে পারে তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। এর আগেও জমির মালিকানা দাবি করে তারা একটি অভিযোগ দাখিল করলে কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট না হয়ে ওই অভিযোগ খারিজ করে দেয় আদালত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ৯৯৯-এ অভিযোগ ছিল। সে মোতাবেক আমি এসআই পাঠিয়েছিলাম।