পাবনার কুচিয়া মাছ শিকারিদের দুর্দিন

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

এক সময় কুচিয়া মাছ সংগ্রহ করে সচ্ছলভাবে দিন পার করলেও তা এখন শুধুই অতীত। চায়না দোয়ারীসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে অবাধে খালে ও বিলে মাছ শিকার করায় চরম বিপাকে পড়েছে স্থানীয় কুচিয়া মাছ শিকারিরা। বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও স্থানীয় বাজারে আশানুরূপ দাম না পেয়ে পেশা বদল করছে অনেকেই।

পাবনা জেলার চলনবিল, ভাদুর বিল, শুতের বিল, গাজনার বিল, পচাগারী বিল, রুহুল বিল, চতরার বিলসহ বিভিন্ন বিলঅঞ্চল থেকে কুচিয়া মাছ শিকার করে শিকারিরা। পরে শিকারিরা সেই মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন আতাইকুলা থানাধীন কুচিয়ামোড়া বাজারে। পরবর্তীতে আড়তদারদের মাধ্যমে কুচিয়া মাছ প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ রপ্তানি করা হয় বিদেশেও।

এ বিষয়ে কুচিয়া মাছ শিকারি মো. শ্রী অর্মীত্র ও মৃদুল জানান, ভাই সকালে বাসা থেকে বাইরে গিয়ে বিভিন্ন মাঠে, বিলে, পুকুরে ও খাল-বিলে বরশি দিয়ে এই কুচিয়া মাছ ধরে আনি। বিলে সব চেয়ে বেশি কুচিয়া পাওয়া যায় তবে চায়না জালের জন্য মাছ পাওয়াই কষ্ট, এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। খুব কম পাওয়া যায় এখন। বর্তমান বাজারে কুচিয়া মাছ ধরে কোনো দিন ২০০ টাকা কেজি আবার কোনো দিন ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করি। আবার কোনো দিন খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। কুচিয়া শিকারিরা অভিমান করে বলেন, বর্তমান সময়ে সব জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের চলাই কষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকে এখন কুচিয়া মাছ ধরা বাদ দিয়ে মাঠে কাজ করছে। আবার কেউ ভ্যান চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় কুচিয়ামোড়া বাজারের আড়তদার মো. মুঞ্জুরুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, মাঠে থেকে শিকারিরা ধরে নিয়ে আসে আমার আড়তে, আমি তাদের কাছ থেকে কিনে রাখি এবং বেশি হলে প্যাকেট করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেই। সেখান থেকে বড় মহাজনরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠায়। তবে শুনেছি বিদেশে বেশি বিক্রি হয়। বিদেশে এই মাছের চাহিদা থাকলেও আমরা সেরকম দাম পাই না। আমাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে আমরা লাভবান হতে পারব।