বিলুপ্তির পথে অর্ধেকের বেশি নদী

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বাধীনতার পর গত পাঁচ দশকে হবিগঞ্জে অর্ধেকের বেশি নদী হারিয়ে গেছে। অনেক নদী পলি জমে পরিণত হয়েছে জমিতে। তবে বেশিরভাগ নদীই হয়েছে বেদখল। নদী তীরবর্তী জমির মালিকরা নিজেদের নামে কাগজ করে দখল করেছেন নদী। ফলে দিন দিন সংকুচিত হতে হতে এসব নদী একসময় হারিয়ে গেছে। এখনো যেগুলো টিকে আছে সেগুলোর অবস্থাও নাজেহাল। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এসব নদীও বিলুপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে নদীগুলো খনন করে রক্ষণাবেক্ষণ করা দরকার। পাশাপাশি দখল হওয়া নদীর প্রবাহ ফেরাতে দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান আরো জোরদার করা প্রয়োজন। সব নদীই উৎপত্তিস্থল থেকে পলি নিয়ে আসে। মাঝেমধ্যে ড্রেজিং না করলে একসময় পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যায়। এমনকি জমির সমান হয়ে যায়। তখন নদী তীরবর্তী জমির মালিকরা নদী দখল করেন। কোথাও কোথাও আবার এসব নদীর জমি স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের নামে কাগজপত্র পর্যন্ত করে নেন। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, মূলত দুই কারণে নদীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এর একটি কারণ প্রাকৃতিক, অন্যটি মানবসৃষ্ট। সব নদীই উৎপত্তিস্থল থেকে পলি নিয়ে আসে। মাঝেমধ্যে ড্রেজিং না করলে একসময় পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যায়। এমনকি জমির সমান হয়ে যায়। তখন নদী তীরবর্তী জমির মালিকরা নদী দখল করেন। কোথাও কোথাও আবার এসব নদীর জমি স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের নামে কাগজপত্র পর্যন্ত করে নেন।

নদী রক্ষণাবেক্ষণ করতে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন জানিয়ে শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, নদী পুনর্খনন এবং নিয়মিত ড্রেজিং করা দরকার। অন্যথায় একসময় দেখা যাবে আরো কোনো কোনো নদী বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সত্তর দশকে এ অঞ্চলে নদীর সংখ্যা ছিল অন্তত ৭০টি। এরপর পাঁচ দশকে অর্ধেকেরও বেশি নদী হারিয়ে গেছে। বর্তমানে মাত্র ২৬টি নদী সচল, সেগুলোও কোনোরকম টিকে আছে। কিছু মানুষের অযাচিত অত্যাচারে দিন দিন দখল-দূষণে শেষ হচ্ছে নদীগুলো। দিন যত গড়াচ্ছে নদীগুলো ততই সংকটজনক অবস্থায় পড়ছে।

তোফাজ্জল সোহেল আরো বলেন, খোয়াই, পুরোনো খোয়াই, সুতরাং, সোনাই, কুশিয়ারাসহ জেলায় যে কয়টি নদনদী এখনো টিকে আছে সেগুলোও দখল-দূষণে পর্যুদস্ত। একদিকে নদী দখল, নদীর বুক থেকে অনিয়ন্ত্রিত বালু-মাটি উত্তোলন, অন্যদিকে কলকারখানার বর্জ্য নিক্ষেপের মাধ্যমে দূষিত করা হচ্ছে নদী।