ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হিমাগারের অভাবে কমছে টমেটো আবাদ

হিমাগারের অভাবে কমছে টমেটো আবাদ

পঞ্চগড় জেলায় এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে ৭০৭ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন হয়েছে ২৯ হাজার ২৭৮ মেট্রিক টন। টমেটোর ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার টমেটো নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। চাষিদের অভিযোগ, হিমাগার না থাকা, ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ কয়েকটি কারণে পঞ্চগড়ে টমেটোর আবাদ কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা টমেটো সংরক্ষণ করার জন্য হিমাগার স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে বিপুল পরিমাণ জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ হতো। এ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষক এই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছিলেন। কিন্তু এখন এ জেলায় টমেটোর আবাদ কমছে প্রতি বছর। পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টমেটোর চাষ হয়ে থাকে সদর উপজেলায়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বীজ বপন করা হয়। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু করে প্রায় এক মাস চলে টমেটোর চারা রোপণ। মার্চ মাসের শুরুর দিকে অল্প কিছু ফল আসতে শুরু করে। টমেটো উৎপাদনের ভরা মৌসুম এপ্রিল ও মে মাস। তবে কিছু উঁচু জমিতে জুন মাসেও টমেটো সংগ্রহ চলে। প্রতি বিঘা টমেটোর ক্ষেত থেকে ২০০ মণ থেকে ২৫০ মণ টমেটো সংগ্রহ করা যায়।

সদর উপজেলার ২ নম্বর হাফিজাবাদ এলাকার কৃষক আসলাম বলেন, গত মৌসুমে টমেটোর দাম ভালো ছিল। তাই চলতি মৌসুমে ঋণ নিয়ে বেশি করে টমেটোর আবাদ করেছেন তিনি। বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু টমেটোর আড়ত না থাকায় কম মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে তিনি বেশি লাভ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত