ছাত্রীকে উত্ত্যক্তে যুবককে বেদম প্রহার

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রবিউল আলম লিটন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বেদম পিটিয়েছে স্থানীয় লোকজন। পরে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশে দিয়েছে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে।

যুবককে অমানবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে কিছু লোকজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি নুরু মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান শান্ত প্রায়ই একই গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত। ওই স্কুলছাত্রী তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা-মাকে জানায়। এ বিষয়ে এর আগে গ্রাম্য বিচার হলেও ওই ছাত্রীকে দেখামাত্র তার বুকে ট্যাটো আমি দেওয়ানা লেখা দেখাত।

গত ৫ জুন শান্ত রাস্তায় ওই ছাত্রীকে ঝাপটে ধরার সময় মেয়েটি আর্তচিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে আটক করে। পরে ছেলেটির হাত পিঠমোড়া দিয়ে শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে বেদম প্রহার করে স্থানীয়রা। গত সোমবার রাতে ছাত্রীর বাবা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক দেখায়। ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ছেলেটি অপরাধ করেছে স্থানীয়রা তাকে মারধর করেছে। আমাদের কি করার বলেন।

তবে অভিযুক্ত ওই যুবকের বাবা নুরু মিয়া বলেন, আমার ছেলে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে এটা সত্যি কথা। একজন অপরাধ করলে কি নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া যাবে বলেন। সে যদি অন্যায় করে থাকে তার বিচার আইন করত। কেন তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিল। আমার ছেলেকে যেভাবে মারধর করেছে বড় কোনো সমস্যা হলে এ দায় কে নিবে। আমি এর বিচার চেয়ে তাদের নামে থানায় মামলা করেছি।

ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আটক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের বাবাও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন।