ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘টেঁটাযুদ্ধমুক্ত বাঞ্ছারামপুর গড়ার লক্ষ্যে পুলিশ’

‘টেঁটাযুদ্ধমুক্ত বাঞ্ছারামপুর গড়ার লক্ষ্যে পুলিশ’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গোষ্ঠীভিত্তিক টেঁটাযুদ্ধে লিপ্ত হতো গ্রামবাসী। নৌপথে গরু চুরি ও ডাকাতির ঘটনাও ঘটত। ডাকাত আতঙ্ক মুক্ত ছিল না সড়ক পথও। বিশেষ করে শীতকালে নদীকেন্দ্রীক গ্রামের বাসিন্দারা থাকত অধিক ঝুঁকিতে। নদী ও স্থল পথকে মাদকের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করত মাদক কারবারিরা। কিন্তু বর্তমানের চিত্র ভিন্ন। টেঁটাযুদ্ধ এখন আর নেই বললেই চলে। চুরি-ডাকাতি প্রায় শূন্যের কোঠায়। একের পর এক অভিযানে গ্রেপ্তার আর মাদক উদ্ধারে আতঙ্কে অপরাধীরা। স্থল ও নৌপথের চোরাকারবারি ও মাদক সরবরাহকারীরা আছে দৌড়ের উপরে। রাতের পথে এখন আর নেই ডাকাত আতঙ্ক। পুলিশ বাহিনীর প্রতি বেড়েছে জনগণের আস্থা। কমে আসছে মামলা ও অপরাধের সংখ্যা। জনমনে নেই আতঙ্ক। সড়ক ও নৌপথে নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। যার জন্যই এই উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার প্রায় ৪ লাখ বাসিন্দা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছে বর্তমানে। গত ৩ জুলাই বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন অহিংস, মিষ্ট ও স্বল্পভাষী, চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম (নয়ন)। এই পুলিশ কর্মকর্তা কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বাসিন্দা। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, সুধারাম থানা ও নোয়াখালী ডিবিতে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যোগদান করেই বেশ কিছু বিষয়ের উপর পর্যালোচনা করেন তিনি। থানা এলাকার বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করার মাধ্যমেই শুরু হয় এই পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধ দমনের অভিনব কৌশল।

ওসি বলেন, যোগদান করেই কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছি। এখানেও অন্য উপজেলার মতো কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। যেখানে গোষ্ঠীভিত্তিক টেঁটা যুদ্ধ বা দাঙ্গা লেগে যায়। সেটাকে সমূলে নির্মূল করার জন্য নানাভাবে কাজ করি। আর এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করি। আমার ইচ্ছা বাঞ্ছারামপুরকে সম্পূর্ণরূপে টেঁটাযুদ্ধ মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা। তাই ওই অঞ্চলের তরুণ যুবকদের মোটিভেশন করি। আমি যোগদানের পর আর গোষ্ঠীভিত্তিক দাঙ্গা লাগেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত