ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালীগঞ্জ হাসপাতালে জেনারেটর নষ্ট

লোডশেডিংয়ে হাতপাখাই একমাত্র ভরসা

লোডশেডিংয়ে হাতপাখাই একমাত্র ভরসা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সহকারী হাসপাতালের নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় লোডশেডিং হলেই অন্ধকার ও গরমে হাঁসফাঁস করতে হয় সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, নার্স এবং চিকিৎসকদের। এছাড়াও ঝড়ে বৈদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দীর্ঘ সময় ধরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিকে বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। হাসপাতালটির জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকলেও তা সচল করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। এ পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্তরা অসুস্থ বোধ করেন। আর রাতের বেলা টর্চলাইট এবং মোমবাতি ব্যাবহার করে নারী-পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার হাসপাতালটির পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড মিলে সর্বমোট ৭১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে দেখা যায়, তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং এ কষ্টে আছেন রোগীরা। লোডশেডিংয়ের ফলে চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। হাসপাতালে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় লোডশেডিংয়ের সময় রোগীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে স্বজনদের দেখা গেছে হাতপাখা, কাগজ ও কাপড় নাড়িয়ে বাতাস করতে। উপজেলার বেথুলী গ্রামের মোতালেব হোসেন ২ দিন হলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই রোগীর স্বজন জানান, বিদ্যুৎ যখন চলে যাচ্ছে, তখন হাতপাখাই তাদের ভরসা।

তাদের দাবি, হাসপাতালে রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য কোনো উপায়ে ফ্যানগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা, যাতে অন্তত রোগীদের কষ্ট কিছুটা কমে।

আরো কয়েকজন রোগীর স্বজন মো. রাজিব, সাইদুল ইসলাম ও আরিফ জানান, প্রতিদিন কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রতিবারে ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। এসময় শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নানা বয়সের রোগীদের খুব কষ্ট হয়। হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার চেয়ে গরমে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের রোগীরা। তারাও ভোগান্তিতে পড়ছেন। রোগীদের স্বস্তির জন্য যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তা নাড়িয়েই বাতাস দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে রোগীদের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। লোডশেডিংএর সময়েও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখতে আমি এরই মধ্যে উন্নতমানের জেনারেটরের চাহিদাপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত