ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিনিকলের শ্রমিকদের স্মারকলিপি পেশ

চিনিকলের শ্রমিকদের স্মারকলিপি পেশ

ফরিদপুর চিনিকলের শ্রমিকদের পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন ও দিনাজপুরে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের বকেয়া গ্রাচুয়েটির দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়। গতকাল প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মধুখালী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের মধুখালীতে অবস্থিত দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিককর্মচারী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির আয়োজনে ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের বকেয়া পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রেলগেট এলাকায় ফরিদপুর চিনিকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আলী আকবর শেখের সভাপতিতেত্ব সভায় বক্তব্য দেন ফরিদপুর চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহিন মিয়া, ফরিদপুর চিনিকলের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মো. আবুল বাশার বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল হক, মো. সিদ্দিকী আলী খান, মো. রেজাউল হক, মো. রফিকউদ্দিন মোল্যা ও মো. কাজলসহ প্রমুখ। মাবনবন্ধনে বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন- ফরিদপুর চিনিকলের ২০১৪ সাল থেকে অবসরপ্রাপ্ত ৩২৬ জন শ্রমিক-কর্মচারীর ও কর্মকর্তাদের গ্রাইচ্যুটি, সরকারঘোষিত জাতীয় মজুরি কমিশন, মজুরি ও বেতন স্কেলের বকেয়াসহ ফরিদপুর চিনিকলের কাছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

ফরিদপুর চিনিকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের বকেয়া প্রায় ৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে ফরিদপুর চিনিকলের কাছে। বক্তাগণ বলেন ৭ থেকে ৮ বছর অবসর গ্রহণ করলেও পাওনা টাকা পাচ্ছি না। পাওনা টাকা না পাওয়ার কারণে ৩২৬টি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছি।

দিনাজপুর : দিনাজপুরে একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনি কলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া গ্র্যাচুয়েটির দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। দিনাজপুরের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার সেতাবগঞ্জ চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীরা তাদের পাওনা গ্রাচুয়েটি অর্থ প্রদানের দাবিতে ইউনিয়ন অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে চিনিকলের প্রধান ফটকে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক মো. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুল হামিদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বলা হয় ২০১৬ সাল থেকে অবসরপ্রাপ্ত ২১৬ জন শ্রমিক ও কর্মচারীর গ্র্যাচুয়েটি বাবদ প্রায় ১২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিক কর্মচারীদের পরিবার-পরিজন অপরিসীম দুঃখ-কষ্টের মাধ্যমে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বক্তারা অবিলম্বে পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি জানান। পরে পরিষদের পক্ষ থেকে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিনিধি জেনারেল ম্যানেজার প্রশাসন মো. ফয়জুল হক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। লোকসানের অজুহাতে গত ৩ বছর ধরে সেতাবগঞ্জ চিনিকল বন্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত