ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অনুমোদন দেয়া ভবন ভাঙলেন এ্যাসিল্যান্ড!

অনুমোদন দেয়া ভবন ভাঙলেন এ্যাসিল্যান্ড!

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে শিশুদের বিনোদনের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন স্থাপনা অন্যায়ভাবে ভেঙে দেয়ার অভিযোগ করেছেন একজন উদ্যোক্তা। সুকান্ত কুমার রায় নামের ওই ব্যক্তি উপজেলা পরিষদ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে স্থাপনা নির্মাণ শুরুর পর শেষ পর্যায়ে এসে প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া ওই স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়।

এসময় তিনি অভিযোগ করেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ভূমিতে ৩তলা বিশিষ্ট একটি বাণিজ্যিক ভবন উপজেলা পরিষদ থেকে সব নিয়ম মেনে অনুমোদন নেয়ার পরও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রশাসন অনৈতিকভাবে তা ভেঙে দিয়েছে। সুকান্ত কুমার জানান, আমার মালিকানাধীন অনাবাদি পতিত ৩০ শতক জমিতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ করে শিশুদের জন্য প্লে জোন ও একটি খাবারের ক্যাফে করার উদ্যোগ নিই। সেখানে ১০.৩৩ শতক জমিতে ৩তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের জন্য গত ২৯ মার্চ উপজেলা পরিষদে আবেদন করি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোট ৪১৮.২৩ বর্গমিটার ভবন নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদন দেন।

মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, সুকান্ত কৃষি জমি ভরাট করে ভবন নির্মাণ করেছেন। তাকে এর আগেও একাধিকাবার ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়। তাকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ভবন নির্মাণের অনুমোদনে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত চিঠিটি ভুয়া। সম্পূর্ণ লিগ্যাল ওয়েতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভবনটি ভাঙা হয়েছে। তবে সুকান্তের নামে ১০.৩৩ শতাংশ জমিতে ৩তলা বিশিষ্ট ভবন অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, আমার মতে সব ধরনের নিময় মেনে সুকান্ত কুমার রায়কে ৩তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

ভবনের চূড়ান্ত অনুমোদনের চিঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনের স্বাক্ষর ভুয়া বলে অ্যাসিল্যান্ড দাবি করলেও উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, অ্যাসিল্যান্ড আমাকে নকশা অনুমোদনের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যাতে দেখা যায় স্বাক্ষরটি আমার নয়। আমি ফাইলটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য সভা আহ্বান করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত