পাবনায় পেঁয়াজের দাম মণে কমেছে হাজার টাকা

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পাবনা প্রতিনিধি

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে হিলি, ভোমরা, বেনাপোল ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এরপরেই পাবনার বাজারে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি হাজার টাকা কমে গেছে। আর কেজিতে কমেছে প্রায় ২২-২৫ টাকা পর্যন্ত। তবে এ দামে লাভ থাকলেও এর চেয়ে মূল্য কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষিরা। গত বুধবার সরেজমিন পাবনার আতাইকুলা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যাপারিদের চাহিদাও কম। ব্যাপারিরা খুব বেশি দরে পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহী নন। আবার পরে দাম বাড়বে এ আশায় চাষিরা পেঁয়াজ কম এনেছেন হাটে। চাষিরা জানান, গত রোববার আতাইকুলা হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। সে পেঁয়াজ তিন দিনের ব্যবধানে পরের হাট বুধবারে মণপ্রতি কমে যায় প্রায় এক হাজার টাকা। এদিন মানভেদে প্রতিমণ পেঁয়াজ ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে, মে মাসের শুরুর দিকে পাবনার হাট-বাজারে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা মণ। তখন পেঁয়াজের বাজার ক্রমেই বাড়তে থাকায় সরকার আমদানির কথা জানায়। এতে মে মাসের ২০ তারিখে পেঁয়াজের মণ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় নেমে আসে। এরপর কৃষিমন্ত্রী ঘোষণা করেন সরকার চাষির স্বার্থ আগে দেখবে তারপর পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে। এ ঘোষণার পর আবার মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের শুরুতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় আবার দাম কমেছে। পাবনা সদর উপজেলার শুকচর গ্রামের শুকুর আলী বলেন, পেঁয়াজের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ। তখন আরও দামের আশায় ঘরে রেখেছিলাম। এত তাড়াতাড়ি দাম পড়ে যাবে তা ভাবতে পারিনি। তবে যে দাম আছে এটা যদি থাকে তাহলে কিছুটা লাভ থাকবে। এর চেয়ে কম হলে ক্ষতি হবে। সাঁথিয়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের চাষি রুবেল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম যে হারে বাড়ছিল তাতে চাষিরা খুব লাভবান হচ্ছিলেন। ভারতের পেঁয়াজ দেশে ঢোকায় দাম কমতে শুরু করেছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পাবনা জেলা শাখার সেক্রেটারি এস এস মাহবুব আলম বলেন, কৃষকের লাভ রেখে পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেওয়া দরকার। তা না হলে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম লাগামহীন হয়ে যায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রণি গত বৃহস্পতিবার সকালে জানান, পেঁয়াজের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ঈদকে পুঁজি করে কেউ যেন কারসাজি করতে না পারে তা দেখা হচ্ছে।