ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘরের দরজার সামনে ১২ ফিট দেয়াল!

ঘরের দরজার সামনে ১২ ফিট দেয়াল!

মুন্সীগঞ্জে এক ধান-চাল ব্যবসায়ীর ঘরের প্রধান দরজা ঘেঁষে ইট-পাথরের দোকান ঘর নির্মাণ করায় বাড়ির ভেতর থেকে বেরুতে না পেরে একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তার পরিবার। প্রতিবেশী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে ইট পাথরের দোকানঘর নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার লোকজন হতম্ব। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালির পাথর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মোল্লা তার ক্রয়কৃত ৪ শতাংশ সম্পত্তিতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন বাড়ি নির্মাণ করেন। কিন্তু পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করলেও সেই বাড়ির সামনে বাদশা মিয়া ইট-পাথর দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে রেখেছে, যার ফলে বাড়ির ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ধান চাল ব্যবসায়ী ও তার পরিবার। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো উপকার পায়নি ওই ব্যবসায়ী। উল্টো বাদশা মিয়া প্রতিদিনই ব্যবসায়ীকে হুমকি-দমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালির পাথর গ্রামে পঞ্চসার মৌজায় হারান চন্দ্র পালের ৮ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। বর্তমানে তা প্রভাব দেখিয়ে ও মসজিদের নাম ব্যবহার করে এই ৮ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তিতে ইট-পাথরের ১২ ফুট দোকান ঘর নির্মাণ করে জবরদখল করে রেখেছে বাদশা মিয়া।

এদিকে ওই অর্পিত সম্পত্তির বাইরের সীমানায় রয়েছে ধান চাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মোল্লার ৪ শতাংশ সম্পত্তি। নিজের সম্পত্তিতে ব্যবসায়ীর পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। বাড়ির লোকজন এখন চলাচল করছে জানালা দিয়ে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাড়ির সামনের সীমানাঘেঁষে ৮ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। সেই অর্পিত সম্পত্তি দখল করার জন্য ইট-পাথর দিয়ে দোকান ঘর নিমার্ণ করেছেন। দোকান ঘরটি আমার বাড়ির প্রধান দরজাঘেঁষে তৈরি হয়েছে, যার ফলে আমি আমার বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। বাড়ির ভেতর একরকম অবরুদ্ধ হয়ে আছি। এখন জানালা দিয়ে বাড়ির সদস্যদের বের হতে হচ্ছে। জানালা দিয়ে নির্মাণকাজের মালামাল উঠানো হচ্ছে।

ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মোল্লা আরো বলেন, সদর ভূমি কর্মকর্তা এখানে এসে দোকানঘর নির্মাণ বন্ধ করে গেছেন। তারপরও রাতের অন্ধকারে দোকানঘর নির্মাণকাজ চালিয়েছেন বাদশা মিয়া।

এদিকে প্রতিবেশী বাদশা মিয়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানান, মালির পাথর মদিনা নূরে জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা এটি। এই দেড় শতাংশ জায়গায় ইট দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। আমরা কোনো অর্পিত সম্পত্তি দখল করেনি। আমি নিয়মিত খাজনা দিচ্ছি। অর্থ সংকটের কারণে এখন নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত না। যদি আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়, তাহলে সরেজমিন লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত