ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কদর বেড়েছে তালের শাঁসের

কদর বেড়েছে তালের শাঁসের

তীব্র গরম ও তাপদাহের কারণে দিনাজপুরে বীরগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর। বীরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসা ভ্রাম্যমাণ তালের শাঁসের দোকানে সব সময়ই লেগেই থাকে ক্রেতাদের ভিড়। গরমে একটু স্বস্তি পেতে ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে তালের শাঁস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তালের শাঁস কিনতে আসা কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, গরমে একটু স্বস্তি পেতে ৪০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাই। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরহান উদ্দিন বাড়িতে বোন মৌমিতা তালের শাঁস খেতে চেয়েছে। তাই ৫০ টাকায় ১০টি শাঁস কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। তালের শাঁস বিক্রেতা খলিল মোহাম্মদ বলেন, গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতি বছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করি। প্রতিটি তালে তিন থেকে চারটি করে শাঁস থাকে। ছোট শাঁস ৫ টাকা, আর বড় শাঁস ১০ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ শাঁস বিক্রি করা যায়। এ তালগুলো বরিশাল থেকে আসে। দিনাজপুরে নজরুল ইসলাম এবং আব্দুস সামাদ নামে দুইজন ব্যবসায়ী বরিশাল থেকে ট্রাকে করে এই তাল দিনাজপুরে নিয়ে আসেন। তাল ব্যবসায়ী মালিক নজরুল ইসলাম জানান, তিনি মূলত ডাবের ব্যবসা করে থাকেন, তালের মৌসুমে বরিশালে অনেক তাল পাওয়া যায়। এছাড়া আগের মতো লোকজন পাকা তাল খেতে চায় না। তাই আমি কাঁচা অবস্থায়ই এখন পর্যন্ত ৫০ ট্রাক তাল নিয়ে এসে পাইকারি বিক্রি করেছি। সারা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বরিশালের তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পানি রয়েছে। সেই সঙ্গে আঁশ তো রয়েছেই। গরমে এটি স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। তবে রাস্তার ধারে খোরা পরিবেশে যাতে করে ধুলো বালি না পড়ে সেদিকে বিক্রেতাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত