পদ্মা নদীর সব সংযোগ খাল এখন মৃতপ্রায়

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ হওয়ায় নদীগর্ভে বেশিরভাগ জায়গায় বিশাল বিশাল অঞ্চলজুড়ে চর পড়ে গেছে। এতে নদীতেও ব্যাপক নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযোগ সব খালে পানি না আসায় শাখা নদী ও খালগুলো শুকিয়ে মৃতরূপে পরিণত হয়েছে।

দেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মায় শুষ্ক মৌসুমে পানি একেবারেই কমে যাচ্ছে। এতে পদ্মা নদীর অববাহিকায় থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলাসহ নদীর তীরবর্তী অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা শুকিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহমান পদ্মার সংযোগ নদী ও খালগুলোও শুকিয়ে গেছে। এতে এ অঞ্চলে যেমন তাপমাত্রা বাড়ছে তেমনি কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন জেলেরা। পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। একসময় এ এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা চলত এ নদীকে কেন্দ্র করে। ১৯৭৫ সালে ভারতের গঙ্গা নদীর উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত সরকার। এরপর থেকে পদ্মা নদীতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। বদলে যায় পদ্মা। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে পদ্মা নদীর গর্ভের অনেক অঞ্চল ধু-ধু মরুভূমিতে পরিণত হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলে পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম ও শহর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার দোহার, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলার অঞ্চলে পদ্মা নদীগর্ভে বিশাল বিশাল এলাকাজুড়ে চর পড়ে ধু-ধু মরুভূমি রূপ নিয়েছে। শ্রীনগরে বাঘড়া ও ভাগ্যকুল ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে সংযোগ থাকা শ্রীনগর ও দোহার সীমান্তের সাইন পুকুর খাল, বাঘড়া বাজার বড় খাল, বাঘড়া বেপারি খাল, শিকদার বাড়ী খাল, নয়াবাড়ী খাল, নাগর নন্দী খাল, ভাগ্যকুল বড় খাল ও লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া খাল, কান্দিপাড়া খাল, খড়িয়ায় উৎপত্তিস্থল শ্রীনগর গোয়ালীমান্দ্রা খাল, তালতলা ডহুরি খালসহ আরো একাধিক খাল এখন পানিশূন্য হয়ে মৃতের রূপ নিয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়রা একাধিক খাল মাটি ভরাট করে দখল করে নেয়। তাছাড়া অনেক খাল কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সীগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, নদীর সংযোগস্থলে খালের মুখে পলি পড়ে খালগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খালগুলো পানিশূন্য।