টাঙ্গাইলে যমুনার ভাঙন

বিলীনের পথে বিদ্যালয় ও ফসলি জমি

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রঞ্জন কৃষ্ণ পণ্ডিত, টাঙ্গাইল

বর্ষার আগেই টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক বসতবাড়ি ফসলি জমি যমুনার পেটে বিলীন হয়ে গেছে। গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, যমুনার ভাঙনে প্রতি বছরই নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। গত কয়েক দিনের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইসকা মাইঝাইল, খাস ঘুনিপাড়া, চর সলিমাবাদ ও ভুতের মোড়, ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানী, মারমা ও উলাডাব এবং দপ্তিয়র ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, কাটি নিশ্চিন্তপুর ও বাক কাটারি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আখিরুল জানান, সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভুতের মোড় পর্যন্ত এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সলিবাদ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ জানান, কয়েক দিনের ভাঙনে বিদ্যালয়ের টয়লেট ও স্কুল ভবনের এক কক্ষ চলে গেছে। ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।

সলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাহীদুল ইসলাম অপু জানান, ৫ বছর ধরে সলিমাবাদ এলাকায় যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত চার শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি যমুনা গর্ভে চলে গেছে। এ বছর নতুন করে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও আমাদের এমপি টিটু এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা রয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভাঙনরোধে ৩০০ মিটার এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বন্যাকালীন সময় স্থায়ীভাবে কোনো সমাধান করা যাবে না। পার্শ্ববর্তী এলাকায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করার পরিকল্পনা রয়েছে।