আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২০৪৪টি খামারে গরু, মহিষসহ কোরবানির পশু প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের ব্যস্থতা। উপজেলা পশু হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে এ বছর উপজেলায় ১৬৭৯২ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানির জন্য। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে গরু/মহিষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সরকারি তথ্যমতে উপজেলায় ১৪ হাজার ৬৫টি কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে।
অর্থনৈতিক মন্দা এবং গরুর মাংসের বাড়তি দামের কারণে এ চাহিদা আরও কমতে পারে।
সবমিলিয়ে চাহিদার তুলনায় সরকারি হিসেবেই
অন্তত ২৭শ’ ২৭টি পশু বাড়তি রয়েছে। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে হিসেবের বাইরে আরও অন্তত ৩০০ গরু রয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারি এবং বেসরকারি হিসেবে প্রায় ৩ হাজার গরু চাহিদার তুলনায় বেশি রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ২০৪৪টি খামারে ষাঁড় ৬৫৬১, বলদ ৫৮৮৫, গাভী ২৭৮৩টি, মহিশ ৬০টি, ছাগল ১৪৬২, ভেড়া ৩৯টি রয়েছে। এসব খামারে সংরক্ষিত পশুগুলোর শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। তবে খামারিরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া, শ্রমিকদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। প্রায় দ্বিগুণ দামে খাদ্য কিনে উপর্যুক্ত দাম না পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এসব খামারিরা।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চাটিতলা গ্রামের ব্রাদার্স এগ্রোর মালিক সালাউদ্দিন মাসুদ জানান, গত ১০ বছর আগে খামার প্রতিষ্ঠা করে ৮-১০ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করেছি। পুরো বছর কষ্ট কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করি। কিন্তু কোরবানির ১৫-২০ দিন আগে ভারত, নেপাল, মিয়ানমার থেকে গরু এসে আমাদের বাজার নষ্ট করে ফেলে।
মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফুলমুড়ী গ্রামের নেছারিয়া
রিষ্টপুষ্ট ডেইরি ফার্মের মালিক ইসমাইল বলেন,
অনেক আশা ভরসা করে কিছু টাকা লভ্যাংশের
আশায় আমরা গরু পালন করি। কিন্তু রোগাক্রান্ত বিদেশি গরু দেশে প্রবেশ করলে আমরা খামারিরা আতঙ্কে থাকি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌসি আক্তার জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তত্ত্বাবধানের কারণে খামারগুলোতে মেডিসিন দ্বারা গরু মোটাতাজাকরণ করা হয় না। দেশীয় আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু এবং অন্যান্য পশু রিষ্টপুষ্ট করা হয়। বরাবরের মতো এবারও অসুস্থ পশু চিহ্নিতকরণ এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
