দুইজন কথিত জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বুধবার রাতে পাবনা, গাইবান্ধা এবং বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার মিরুপাড়া এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মো.আব্দুর রশিদ (৫০) এবং একই এলাকার মৃত. সাফায়াতুল্লাাহ প্রামানিকের ছেলে মো. আবু মিয়া (৩৮)।
পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, পাবনার চাটমোহর উপজেলার সারোরা পুর্বপাড়ার মৃত আছের উদ্দিনের ছেলে মো. আরব আলী নাইট গার্ডের চাকরি করেন। প্রায় ৬ মাস আগে চাটমোহর নতুন বাজারে নাইট গার্ডের ডিউটি করাকালীন সময় গভীর রাত্রীতে আরব আলীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে তাকে আল্লাহর নামে শপথ করান। এসময় ধর্মীয়ভাবে ইসলামের নানা বিষয়ে মিথ্যা বুঝায়ে ও প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব কথা কাউকে জানালে তার পরিবারের যেকোন সদস্য মারা যাবে বলে ভয় দেখায়ে বিষয়টি তাকে গোপন রাখতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ১৩ জুন পুনরায় কল করে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জায়নামাজ কেনার জন্য ২১ হাজার টাকা দাবি করে। এরপর ভুক্তভোগী চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, অভিযোগের পর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং মোবাইল ফোনের সিডিআর পর্যালোচনা করে পাবনা ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম পাবনা, গাইবান্ধা এবং বগুড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত জ্বীনের বাদশা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং যেসব বিকাশ নম্বরে টাকা নিয়েছে সব মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে গভীর রাতে নীরহ সহজ সরল ধর্ম প্রাণ মুসলমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এবং গুপ্তধন পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ও জ্বীন দ্বারা প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা হাতিয়ে নিতো।
