পড়ে থাকা খড় গোখাদ্য

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

গবাদিপশুর গোখাদ্যের একটি অংশের জোগান আসে খড় থেকে। পাশাপাশি অনেকে সবুজ ঘাস ও দানাদার খাদ্য দিয়ে থাকে পশুদের। তবে সহজেই মিলে খড়। আর খড় আসে বছরে তিনটি উৎপাদিত নওগাঁ জেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ থেকে। জমিতে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খড় রেখেই পরিবহনের সুবিধার জন্য শুধু ধান কেটে নিয়ে যান শ্রমিকরা। এতে বছর শেষে গবাদিপশু পালনকারিরা পড়েন খড় সংকটে। বাধ্য হয়ে অন্যের দারস্তসহ খড় কিনে খাওয়াতে হয়। এতে করে অথনৈতিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারি বা চাষিরা। যদি জমি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খড় কাটা হয়, তাহলে বছরের প্রায় ৫০ শতাংশ গোখাদ্যের জোগান দেয়া সম্ভব। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ইরি-বোরো, আউশ ও আমন জমির পরিমাণ প্রায় চার লাখ ৪২ হাজার হেক্টর। যা থেকে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার খড় উৎপাদন হয় (বিঘাপ্রতি ৩ হাজার টাকা হিসেবে)।

জেলার সদর, বদলগাছী, নিয়ামতপুর ও ধামইরহাটসহ কয়েকটি উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ। কোথাও কোথাও আরো বেশি পড়ে আছে। অনেকে আবার সেই খড় গবাদিপশুর জন্য কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে খড় কেটে ফেলে দিচ্ছে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ধানকাটার সময় ওপরের অংশ কাটা হলেও নিচের অংশ জমিতে থেকে যায়। এতে করে গবাদিপশুর আপদকালীন বা সংকটকালীন যে খাদ্য সংকট হয় খামারি তা পূরণ করতে পারে না। কৃষকদের কাছে পরামর্শ থাকবে- ধানকাটার সময় অবশ্যই ধানের গোড়া পর্যন্ত কাটতে হবে। এতে করে সারা বছর সংরক্ষণ করে গবাদিপশুর খাদ্যে জোগান দেয়া সম্ভব। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ধানকাটার পর জমিতে যে অংশ পড়ে থাকে তা জমির জন্য উপকার। এসব খড় পচে পরবর্তীতে মাটির সঙ্গে জৈব উপাদানে পরিণত হয়। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো হবে। আর গবাদিপশুর খাদ্যের জন্য যদি বলা হয় যতটুকু খড় কাটার প্রয়োজন তা কেটে বাকি অংশ জমিতে রাখা ভালো হবে।