হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মুরগি

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

পাবনার ঈশ্বরদীতে টানা দাবদাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। প্রাথমিক চিকিৎসা ও খামারে পানি ছিটানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও হিটস্ট্রোকে মুরগির মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকায় ডিমের উৎপাদনও কমেছে অনেক। আকারেও ছোট হচ্ছে ডিম। দাবদাহের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। বিগত ১৮ দিনে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে। দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির ছিঁটেফোটা হয়নি। এতে জনজীবন অতিষ্ঠের সঙ্গে খামারেও প্রভাব পড়েছে। গরমের তীব্রতায় খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় খামারিদের চোখে জল। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা কমদামেই মুরগি বিক্রি করে খামার খালি করছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, ঈশ্বরদীতে ৪৫১টি নিবন্ধিত পোলট্রি খামার রয়েছে। ব্রিডার সাতটি, ব্রয়লার ২১৮টি ও লেয়ার ২২৬টি। অনিবন্ধিত খামারের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। খামারিরা বলেন, দাবদাহের কারণে প্রতিদিনই মুরগি মারা যাচ্ছে। লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় মুরগির মৃত্যু বেড়েছে। ওষুধ খাইয়ে ও পানি ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। ২৬০ টাকার কালার বার্ড ২০০ টাকায়, ২১০ টাকার ব্রয়লার ১৭০ টাকায় পাইকারি দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

পাবনা জেলা পোলট্রি খামার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন বলেন, দাবদাহের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ব্রয়লার মুরগি। ডিম উৎপাদনও কমে গেছে। দাবদাহে খামারিদের এবারে বিপুল ক্ষতি হয়েছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের উষ্ণতম এলাকা হিসেবে ঈশ্বরদী পরিচিত। গত ১০ দিনে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দাশুড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম কামাল হোসেন বলেন, ঈশ্বরদী ও পাবনা সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ২৯ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় সবসময় ৮-১০ মেগাওয়াট সরবরাহ কম থাকে। স্বাভাবিকভাবেই লোডশেডিং হয়। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল। গত দুদিনে অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও কমে আসবে।