ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চোরাইপথে গরু আসার শঙ্কায় খামারিরা

চোরাইপথে গরু আসার শঙ্কায় খামারিরা

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করার কাজ। খামারিরা জানান গো-খাদ্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে খামারের ব্যয়। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, দেশীয় পশু দিয়েই স্থানীয়ভাবে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে লক্ষাধিক গবাদিপশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন খামারিরা। এবার জেলায় বেড়েছে খামারির সংখ্যা। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে পশু হৃষ্টপুষ্ট করার কাজ করছেন খামারিরা। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের কোরবানির পশু রয়েছে। খামারিরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খামারের ব্যয়। এরই মধ্যে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। ফলে বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে খামারের মালিকরা। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কোরবানির পশু আসা রোধ করতে পারলে তারা ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খামারিদের গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করার উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিদের হাতেকলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এদিকে খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধপথে আসা কোরবানির পশুর বিক্রয় বন্ধে হাটগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন। কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে ইমাম ও খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপের কথা জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত