সবুজ মিয়ার ছাদবাগানে ১৫ জাতের সবজি

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস সহায়ক সবুজ মিয়া (৫০)। তিনি এ বছর তার ৩০/২২ ফুট ছাদে পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো চাষ করে এখন স্বপ্ন দেখছেন সবজি বাজারজাতকরণের। মাত্র ৭৫ টাকা খরচে শুরু করা সবুজ মিয়ার ছাদবাগানে এখন রয়েছে ১৫ জাতের সবজি। তার এই ছাদবাগান দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। অনেকেই তার কাছ থেকে ছাদবাগানের পরামর্শ নিতে আসেন। সবুজ মিয়া (৫০) নকলার ৪নং গৌড়দ্বার ইউনিয়নের গৌড়দ্বার বাজারের বাসিন্দা। তিনি এর আগে শ্রীবরদী উপজেলায় স্বাস্থ্যও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস সহায়ক হিসেবে ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন হলো বদলি হয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে টালকি ইউনিয়নে এসেছেন। বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন তার ছাদবাগানে। যেখানে ১৫ প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। তার ৩০/২২ ফুটের ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, বারোমাসি আম, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, আমড়া, মরিচ, অ্যালোভেরা, করলাসহ ১৫ জাতের বিভিন্ন ফল ও সবজির গাছ। দেখা যায়, প্রত্যেকটি গাছে মুকুল ধরতে শুরু করেছে। ঝুলে আছে বিভিন্ন রকমের ফলসহ নানা রকমের সবজি। যে কারোর দেখে মনে হবে, এ যেন ছাদ নয়, এক টুকরো উদ্যান। সবুজ মিয়া বলেন, আমি প্রথমে সূর্যমুখী ফুল লাগাই। ফুল খুব ভালো হয়েছিল। তাই ছাদবাগান করতে আগ্রহী হই। তারপর হাইব্রিড মুলা লাগাই। আমি ২ বছর ধরে ছাদবাগান করছি। আমার বাগানে সারাবছর শাকসবজি ও ফলমূল থাকে। আমি সারাদিন অফিস করি সকালে ও বিকালে বাগানে আসি। আমার বাগান থেকে গতবারের উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে ৬ মাস চলেছি। তাই এবার পেঁয়াজ বেশি লাগিয়েছি। ধারণা করছি ৮৫ থেকে ৯০ কেজির মতো পেঁয়াজ ও ১০ কেজির মতো রসুন পাব। এই পেঁয়াজ ও রসুন আমার সংসারে সারাবছর চলবে। সামনের বছর আরো বড় আকারের বাগান করে বাজারজাত করব। কত টাকা খরচ হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বাজার থেকে ৭৫ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুনের বীজ কিনে এনেছিলাম। তারপর বীজ থেকে পদ্ধতি মেনে চারা তৈরি করে ছাদে লাগিয়েছি। আমি নিজে গোবর, খৈল, চাপাতি দিয়ে জৈব সার তৈরি করি। এতে আমার কোনো খরচ লাগে না। আমার ছাদবাগান শুরু করতে খরচ হয়েছিল মাত্র ৭৫ টাকা। ছাদবাগানে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যাদের নিজের ছাদ পড়ে আছে, তারা ছাদবাগান করতে পারে। এই বাগানে অল্প খরচে ফলন ভালো পাওয়া যায়। আপনারা অবসর সময়টুকু ছাদবাগানে খরচ করুন, এতে সময় কাজে লাগবে।