মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাস্তাঘাটজুড়ে ছত্রতত্র বিদ্যুতের খুঁটি ও খুঁটির টানা থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীদের। প্রধান প্রধান রাস্তা ও গ্রামীণ রাস্তার মাঝখানে পোতা বিদ্যুৎ খুঁটি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি সঙ্গের খুঁটির টানার কারণে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারী সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে অচেনা পথচারীরা প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তায়। হঠাৎ করে আসা কোনো যন্ত্রচালিত যানবাহন এ খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই পল্লীবিদ্যুতের এসব খুঁটি ও খুঁটির টানাগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, রাস্তার মাঝ বরাবর বৈদ্যুতিক এসব খুঁটি অপসারণ না করিয়ে রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি ও টানা তার রেখে বিভিন্ন ঠিকানাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করছেন। পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান ও মিটার রিডিংয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঝুঁকিপূর্ণ ওই সব রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করলেও এই সব খুঁটি ও টানা তাদের চোখে পড়ছে না। কেউ কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করলে সেটা তারা আমলে নিচ্ছেন না। এমনকি জোনাল অফিসেও অবগত করছেন না তারা।
ওইসব এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, রাস্তার মাঝ বরাবর ওই সব খুঁটি এ খুঁটির টানার কারণে আমাদের স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয় এবং চলাচলরত যানবাহন খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা থাকলেও সেটি আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
ধাইসার গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু ও আবুল হোসেন, গৃহবধূ মর্জিনা বেগম, সেতেরা বেগম জানান, রাতের বেলা ওইসব খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে অনেকেই হাত-পা ভেঙে আহত হয়েছেন। তাছাড়া খুঁটিগুলোতে সড়ক বাতি না থাকায় রাতের বেলায় যেকোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের অভিয়োগ উপজেলার এসব সড়কে প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন চলাচল করলেও এ সমস্যা সমাধানের কারও কোনো উদ্যোগ নেই। সমস্যার সমাধান করতে পারেন এমন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেও কাজ হয়নি। শ্রীনগর জোনাল অফিস মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আবু তাহের বলেন, পূর্বে রাস্তার মধ্যে এস বৈদ্যুতিক খুঁটি বা খুঁটির টানা ছিল না। রাস্তারগুলো নির্মাণ, সংস্কার বা রাস্তা বড় করাতে দেখা যাচ্ছে এগুলো রাস্তার মধ্যে পড়েছে। ঠিকাদাররা বা রাস্তা নির্মাণকারীরা রাস্তা নির্মাণ করার সময় আমাদের এসব ব্যাপারে অবগত না করেই রাস্তা নির্মাণ করে চলে যায়। পড়ে দেখা গেছে, রাস্তায় এসব পড়েছে। এগুলো অপসারণের ব্যাপারে কেউ আবেদন করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।