বিলে পানি তুলে মাছ চাষ, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

অতিবৃষ্টি হলে যশোরের কেশবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনে অসুবিধা হয়। তখন বিল উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেন। এই যখন পরিস্থিতি, তখন কেশবপুরে মৎস্য চাষের জন্য মাছের ঘেরমালিকেরা শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকূপ থেকে দিনরাত পানি ওঠাচ্ছেন। এলাকাবাসী বলেছে, এখনই বিলগুলো পানিপূর্ণ হয়ে থাকলে পরে ভারি বৃষ্টির সময় বিল উপচে বন্যার সৃষ্টি হবে। তাদের দাবি, এখনই ভূগর্ভের পানি ওঠানো বন্ধ করা উচিত।

পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ও পাঁজিয়া সমাজকল্যাণ সমিতির পরিচালক বাবর আলী গোলাদার বলেন, ভূগর্ভের পানি ওঠানোটাই পরিবেশের ক্ষতি। এর ওপর বিল এখন পানিতে ভরে থাকলে বৃষ্টি হলে বাড়িঘর ডুবে যাবে। সেচপাম্প দিয়ে পানি তোলা বন্ধ করতে হবে। কেশবপুরের নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও পানি সরাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, অব্যাহতভাবে ভূগর্ভের পানি ওঠানো হলে এলাকার পানির স্তর নিচে নেমে গিয়ে একসময় বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই ভূগর্ভের পানির অপচয় রোধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রায়হান আহম্মেদ বলেন, ভূগর্ভ থেকে যথেচ্ছ পানি ওঠানোর কারণে ক্রমান্বয়ে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ভূগর্ভের পানি ওঠানো সীমিত করতে হবে। এভাবে পানি ওঠানো অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় তিনি এ বিষয়ে কয়েকবার কথা বলেছেন।

কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, ভূগর্ভের পানির অপচয় বন্ধ করতে কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচযন্ত্র দিয়ে অন্য কাজে পানি ব্যবহার করা যাবে না বলে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে কারণে বৈদ্যুতিক সেচপাম্পগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ আপাতত বন্ধ রাখার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে চিঠি দেয়া হচ্ছে। সেচ মৌসুমে আবার সংযোগ দেয়া হবে।