ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লোডশেডিংয়ে নাজেহাল জনগণ

সংকটেও বিদ্যুৎ অপচয়
লোডশেডিংয়ে নাজেহাল জনগণ

জ্বালানি সংকটে পুরোপুরি বন্ধ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। আবার শুরু হতে পারে শিডিউল লোডশেডিং। বিদ্যুতের এমন সংকটেও দিনে-দুপুরে নিয়মিত জ্বলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুটি ফ্লাইওভারে সড়কবাতি। এছাড়াও ইজিবাইক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে ব্যবহারেও সবচেয়ে বেশি অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নাজেহাল ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। অপরদিকে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানার।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টিপাতে কমে গেছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের প্রকৃতি। কিন্তু মেঘ ও বৃষ্টি কেটে সূর্যের দেখা মেলে ধীরে ধীরে, আবারও অশান্ত হয়ে উঠে তাপপ্রবাহ। তার ওপর লোডশেডিং মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। জ্বালানি সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে বিদ্যুৎ সংকটের কবলে পড়েছে পুরো দেশ। দিনে-রাতে সমানতালে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। রাতের ঘুমও কেড়ে নিচ্ছে লোডশেডিং। তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। আবার শুরু হতে পারে শিডিউল লোডশেডিং। বিদ্যুতের এমন সংকট কালেও ঠাওর হয়নি ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১-এর অধীনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর, চন্দ্রা ও মৌচাক জোনাল অফিসের। ওই তিনটি অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অগণিত অটোরিকশা গ্যারেজে কত লাখ অটোরিকশা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে? তারও কোনো অন্ত নেই। এছাড়াও বিভিন্ন মৎস্য খামারে হাজার হাজার বাতি জ্বালানো হচ্ছে। অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক, সফিপুর, হরিণহাটি, পল্লী বিদ্যুৎ, চন্দ্রা, বাড়ইপাড়া, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত ও বাজারে অবৈধভাবে পার্শ্ব সংযোগ দিয়ে নিয়মিত জ্বালানো হচ্ছে বাতি। কোনো কোনো দোকানে চলছে বৈদ্যুতিক পাখা ও ফ্রিজও। অপরদিকে চন্দ্রা ও কালিয়াকৈর জোনাল অফিসের আওতাধীন সফিপুর ও চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ফ্লাইওভারে সন্ধ্যা নামার ৩/৪ ঘণ্টা আগেই জ্বলে উঠে সড়কবাতিগুলো। ফলে সংকটের মধ্যে বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ হচ্ছে না। এতে আরো বেশি লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, ঘন ঘন লোডশেডিং যন্ত্রণা ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। আমাদের বিদ্যুৎ বিল তো বাকি নেই। তাহলে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার বিল বকেয়া রইল কেন? এমন কথা জানিয়েছে, বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন গ্রাহকরা। তবে দিনে-দুপুরে ফ্লাইওভারে সড়কবাতি, অটোরিকশা গ্যারেজ, ফুটপাত ও বাজারে পাশে সংযোগে বাতি জ্বালানো বন্ধের মাধ্যমে বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করার দাবি স্থানীয়দের।

চন্দ্রা ডেপুটি ম্যানেজার (ডিজিএম) কামাল হোসেন জানান, তিনি মিটিংয়ে আছেন। কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, আমরা ফ্লাইওভারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। সেখানে বাতিগুলো জ্বালানো ও নেভানো দায়িত্ব সড়ক বিভাগে। এছাড়া ফুটপাত ও কাঁচাবাজারের পার্শ্বে সংযোগে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের টঙ্গী সাবডিবিশনাল প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, ফ্লাইওভারে শীতকালে বাতি জ্বলে উঠার সেটিং করেছিলেন প্রকৌশলীরা। কিন্তু এখন দিন বড় হলেও সেটার সেটিং পরিবর্তন করা হয়নি। তবে খবু তাড়াতাড়ি বাতিগুলোর সেটিং পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত