ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডাকাতি আতংকে উপজেলাবাসী

ডাকাতি আতংকে উপজেলাবাসী

ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির হিড়িক পড়ে গেছে। একের পর এক বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পুরো উপজেলাজুড়ে মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। ডাকাতের ভয়ে রাতের আঁধারে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় যেকোনো বাড়িতে ডাকাত দলের হামলার আতংক এখন সর্বত্র। ক্ষতিগ্রস্ত নরিংদী এলাকার ভুক্তভোগী কাপড় ব্যবসায়ী হাফিজউদ্দিন বলেন, গত রোববার রাতে একদল মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী ব্যক্তি তার দ্বিতীয়তলা ভবনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রবেশ করে। পরে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কক্ষে সবাইকে আটক রাখে।

পরে আলমারি ভেঙে প্রায় ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। একই এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মফিজউদ্দিন বলেন, তার বাড়ির প্রধান গেট ভেঙে একদল দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারি ভেঙে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা এবং কয়েকটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। একই রাতে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কদমতলী এলাকায় প্রবাস ফেরত আলম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। এর মধ্যে প্রবাসীর বসতঘরে ঢুকে ডাকাত দল ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বেশ কিছু ডলার লুটে নেয়। প্রতিবন্ধী নজরুলের ঘর থেকে স্থানীয় সমিতি থেকে উত্তোলনকৃত (কিস্তি) টাকা ৪০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে আটক বা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন স্থানীয় শিবপুর এলাকায় পাওয়ারলুম ব্যবসায়ী মমতাজ হোসেনের বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। এই বাড়ি থেকে ১০ জনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ৩১ মে শফিকুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়ি থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুটে নেয়। আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত