ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিস্তা-ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি

বন্যার শঙ্কায় নদী পাড়ের মানুষ

বন্যার শঙ্কায় নদী পাড়ের মানুষ

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী পানি। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত সবগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ঢুকে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে। তবে এখনও ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ না করলেও তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পটোল, ঢ্যাঁড়সসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। নিম্নাঞ্চলের সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন তারা।

এদিকে ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তা-ধরলা নদী চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। গতকাল সোমবার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে ও দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার মতিয়ার রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি খুবই দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন চরগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়ে পড়বে। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোবর্ধন হায়দারিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কাল থেকে পানি বাড়তেছে। স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পানি উঠেছে। তাই পানিতে ভিজে স্কুলে যাচ্ছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, পানি বৃদ্ধি পেলেও তা আবারও কমতে শুরু করেছে। খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত