ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তি চরমে

রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তি চরমে

খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি, দক্ষিণ বেদকাশির কয়েকটি রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মানুষের চলাচলে নাভিশ্বাস উঠেছে। খোদ উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে কপোতাক্ষ কলেজ হয়ে উত্তর বেদকাশির কাশিরহাট অভিমুখী ৭ কিলোমিটর রাস্তা গত একযুগের বেশি সময় যাবত সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে বর্তমানে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অসংখ্য ছোটবড় খানাখন্দে ভরে ওঠায় হেলেদুলে দুমড়ে মুচড়ে চলাচল করছে ভ্যান, মোটর সাইকেল, ইজিবাইক। কয়রা বাজারের হাইস্কুল মোড় থেকে ৪নং কয়রা সরকারি পুকুর অভিমুখী রাস্তাটি গত ৬ বছর সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঠিকাদার দায়সারাভাবে খোয়াবালু মিশিয়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় খোয়া উঠে গিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। দেউলিয়া বাজার থেকে খেজুরবাগের রাস্তাটি ঠিকাদার খোয়া মিশিয়ে ফেলে আর কাজ না করায় রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ৪নং কয়রা পল্লীমঙ্গল মোড় থেকে উত্তরচক মাদ্রাসা অভিমুখী রাস্তা গত ৬ মাস আগে খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার চলে যায়। চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকার মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহায়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।

বিশেষ করে উত্তর বেদকাশির কাটকাটা থেকে দক্ষিণ বেদকাশির ঘড়িলাল, জোড়শিং, গোলখালি অভিমুখী ১৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় কারণে মানুষের চলাচলে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। পুরো রাস্তার ইটগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকায় মোটর সাইকেল ব্যতীত অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। প্রতিদিন দক্ষিণ বেদকাশির শত শত মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুমড়ে মুচড়ে মোটরসাইকেলে মাছসহ অন্যান্য মালামাল বহন করতে দেখা যায়। লোকজনের হাটবাজার, চায়ের দোকানসহ সব মহলে নাজুক রাস্তাটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। বর্ষাকালে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিনুর রহমান বলেন, জরাজীর্ণ রাস্তাগুলো সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের তাগিদ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত