ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লোহার খাঁচায় বাবু আসছে হাটে

লোহার খাঁচায় বাবু আসছে হাটে

আর ক’দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আজহা। দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন হাটে শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচা। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি। হাট-বাজারের পাশাপাশি বিভন্ন গরু-ছাগলের ফার্মেও ছুটছেন ক্রেতারা। দিনাজপুর শহরের সুইহারী মির্জাপুর বাসটার্মিনাল এলাকায় গরুর খামার করেছেন বাদশা আরমান। তার খামারে রয়েছে বেশ কয়েক প্রজাতের গরু। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গরু হলো লোহার খাঁচায় রেখে পালন করা ‘বাবু’ নামের একটি গরু। তিনি তিন বছর আগে হাটে গিয়েছিলেন গরু দেখতে। গরুর দাম শুনে বাসায় ফেরার পথে ব্রাহমা প্রজাতির ছয় মাসের একটি বাছুর কিনে খামারে নিয়ে আসেন। শুরু করেন লালন-পালন। গরুর পরিচর্যাকরী সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই বছর থেকে আমি গরুটিকে খাবার দেই, দেখাশোনা করি। গরুটি অনেক শান্ত স্বভাবের, কোনোরকম দুষ্টামি করে না। রশি ছাড়াই গরুটিকে খাঁচায় রাখা হয়। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার গোসল করাই। দিনে তিন থেকে চারবার খাবার দেই। ভুসি, চক্কর, ভুট্টার ছাতু, সয়াবিন, খড়কুটা আর ঘাস খাওয়াই। প্রতিদিন তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকার মতো খাবার খায়। এই গরুটির অসুখ-বিসুখ তেমন হয় না বললেই চলে।

গরুটির মালিক আরমান বলেন, ব্রাহমা প্রজাতির এই গরুটি তিন বছর আগে কিনেছিলাম। তারপর গরুটি রশিতে বেঁধে রাখলেও খুলে খুলে যেত। তারপর থেকে আর গরুটিকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি না। তখন একটা ঘরের মতো জায়গা করে লোহার খাঁচা দিয়ে রাখতাম সেখানে। নিজের সন্তানের মতোই গরুটিকে দেখতাম, বাবু নামে ডাকতাম। যখন গরুটির দুই দাঁত বয়স ছিল তখন দিনে, পাঁচ থেকে ছয়শ’ টাকার খাবার লাগত। এখন চার দাঁত বয়স। এখন তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকার খাবার লাগে। এই ব্রাহমা প্রজাতির গরুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ছোট থেকে বেশি খাবার দরকার হয়। পরে বয়স বাড়লে কম খাওয়ায় দ্রুত বড় হয়, ওজন বাড়ে। কোনো প্রকার দ্রুত বর্ধনশীল ইনজেকশন বা মেডিসিন খাওয়ানো হয়নি। দানাদার খাদ্যের মাধ্যমে গরুটিকে বড় করা হয়েছে।

ব্রাহমা প্রজাতির এই গরুটির বর্তমান বয়স চার দাঁত। ওজন প্রায় ১৭ মণ। এবারে কোরবানির জন্য গরুটির বিক্রি মূল্য রেখেছেন ৬ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত