কোরবানির পশু

চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে উৎপাদন হয়েছে বেশি। কোরবানির পশুর হাটে পশুর আমদানি ও মূল্য বেশি হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে অনেক কম। চোরাই পথে ভারতীয় গরু আমদানি হওয়ার আশংকায় দেশি গরুর খামারিদের মাথায় হাত উঠেছে। কেশবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির উপযুক্ত বিশুদ্ধ মাংসের গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া আছে ১০ হাজার ৩৫৯টি। এরই মধ্যে গরু ৩ হাজার ৪৬২টি ও ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৮৯৭টি। উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে উবৃদ্ধ বেশি রয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়দিন বাকি। এরই মধ্যে কেশবপুর পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। কেশবপুরে গত বুধবার ছিল ঈদুল আজহা কোরবানির উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট। পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, পশুর হাটে কোরবানির গরু-ছাগলের প্রচুর আমদানি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিহাটে স্থানীয় জাতের গরু-ছাগলের আমদানি ভালোই হচ্ছে। দামও মুটামুটি ভালো, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম। এরই মধ্যে বিভিন্ন ভারতীয় বর্ডার দিয়ে চোরাই পথে প্রচুর গরুর আমদানি হতে দেখা যাচ্ছে। এগুলো যদি বন্ধ না হয়, তাহলে দেশীয় গরুর খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. অলোকেশ কুমার সরকার বলেন, কেশবপুর উপজেলায় ছোটবড় অনেক গরু ছাগল পালনকারী খামারি রয়েছে। তারা কোরবানির ঈদের হাটে কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রি করার জন্য নিজেদের বাড়িতে গরু-ছাগল পালন করেছে। তারা যদি পশুর উপযুক্ত মূল্য না পায়, তাহলে তারাও গরু-ছাগল পালনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

কেশবপুর পৌর শহরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ইজারাদার ইকবল হোসেন তোতা বলেন, অনেক চড়া মূল্যে পশুর হাট ইজারা নিতে হয়েছে। কোরবানি উপলক্ষ্যে পশুর আমদানিও ভালো। কিন্তু বেচা-বিক্রি খুব কম হচ্ছে। যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ না হয় এবং বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ীরা আমাদের হাটে কোরবানির গরু-ছাগল কিনতে না আসে, তাহলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।