ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আড়াই টন সাধুর দাম ১২ লাখ টাকা

আড়াই টন সাধুর দাম ১২ লাখ টাকা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার পান বিক্রেতার আড়াই টন সাধু এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে। সাদা কালো পাকড়া-পাকড়ি এই ফিজিশিয়ান জাতের সাধুর বয়স সাড়ে তিন বছর। প্রাকৃতিক খাবার খাওইয়ে লালনপালন করেছেন বালিয়াটি জমিদার বাড়ির পাশের খামারি সুব্রত সাহা। সাড়ে তিন বছরে সাধুকে লালনপালন করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। এই সাধুকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে সাধুর মালিকের বাড়িতে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু হচ্ছে সাধু। সাধুর উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট, লম্বা ৮ ফুট। গাঢ়ের ব্যাড় সাড়ে ৭ ফুট। সাধুর ওজন হয়েছে ২৫ থেকে ২৮ মণ। অস্ট্রেলিয়ার ফিজিশিয়ান জাতের সাদা কালো পাকড়া সাধু শান্ত হওয়ায় মালিক তার নাম রেখেছেন সাধু।

খামারি সুব্রত সাহা জানান, নিজের পালের ছোট বাছুরকে সাড়ে তিন বছর লালনপালন করেছি নিজের সন্তানের মতো। গরুটি শান্ত ও ঠান্ডা হওয়ায় ওর নাম দিয়েছি সাধু। সাধু বলে ডাকলেই সে মাথা ন্যাড়ে উত্তর দেয়। সাধুর খাদ্য তালিকায় রয়েছে, ধানের কুড়া, ভূসি, চিড়া, ধান, ভুট্টা, কাঁচাঘাস, কলা, মালটা, লেবু, মিষ্টি আলু ও চিটাগুড় খাবার দিয়েছি। এছাড়া প্রতিদিন সাধুকে দিনে দুইবার ১০ থেকে ১২টি স্যাম্পু দিয়ে গোছল দিয়েছি। ছোট বেলা থেকে সাধুকে ফ্যানের নিচে রাখা হয়েছে। জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বড় ষাঁড় বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তিনি সাধুর দাম হাকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। কোনো ধনবান ও সৌখিন ব্যক্তি কোরবানির জন্য আমার সাধুকে এবার ক্রয় করে নেবেন বলে আশা করছেন।

সাধুকে লালনপালনকারী সুব্রত সাহার স্ত্রী আশা রাণী সাহা জানায়, রাতের বেলায় সাধুর পাশেই আমরা ঘুমিয়ে থাকি। শান্ত আর নম্র-ভদ্র হওয়ায় যেকোনো মানুষ সাধুর কাছে যেতে পারে। কাছে গিয়ে সাধুকে আদর করতে পারে শিশুরাও। সাধুকে নিজের সন্তানের মতো খাওয়ে বড় করেছি। এখন সাধুর মায়ার জালে পরে গেছি।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খোকন হোসেন বলেন, অফিসের পাশে হওয়ায় সব সময় সাধুর স্বাস্থ্যের প্রতি খবর রেখেছি। কোনো ধরনের সমস্যা হলে সময়মতো চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সাধুকে বিক্রি করার জন্য সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অনলাইন গরুর হাট ও ওয়েবসাইডে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। যে কোনো সৌখিন ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাধুকে কিনতে পারবেন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে সাধুকে বড় করা হয়েছে। সাধুকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করা হবে। ভালো ক্রেতা পেলে খামারি তার নায্যমূল্য পাবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত