মাঠ কাঁপাবে ডিপজল

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নূরে-আলম রনি, নরসিংদী

নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এআই টেকনিশিয়ান খলিলুর রহমান। এবার কোরবানির ঈদকে ঘিরে ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল দেহের একটি গরু লালন-পালন করছেন। গত দুই বছর আগে নিজের পালন করা একটি গাভী থেকে ষাঁড়টির জন্ম হয়। জন্মের পর শখ করে নাম রাখেন বেলাবর ডিপজল। সাড়ে ৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ বিশাল দেহের ষাঁড়টি এখন এলাকার একমাত্র আকর্ষণীয় গরু। গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ৯০০ কেজি। এবার কোরবানি ঈদে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে গরুটি বিক্রি করতে চান খামারি। সাদা কালো রঙের গরুটি লালন-পালন করছেন পরিবারের সদস্যসহ একজন রাখাল। প্রতিদিন তিন বেলা গোসল করার পাশাপাশি গরুটিকে খাওয়ানো হচ্ছে সবুজ ঘাস, গম, ভুসি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন দানাধার খাদ্য। খামারি খলিলুর রহমান জানান, গরুটি লালন পালনে প্রথমে তার ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হলেও বর্তমানে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গত দুই বছরে তিনি ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন গরুটির পেছনে। এবার কোরবানি ঈদে তিনি গরুটি ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। এরইমধ্যে গরুটির ৪ লাখ টাকা দামও উঠেছে। এলাকাবাসীর মতে বেলাব উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু ডিপজল নামের ষাঁড়টি। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে অনেক উৎসুক মানুষ গরুটি দেখতে ছুটে যাচ্ছে খলিলের বাড়িতে। তাদের প্রত্যাশা এবার কোরবানির ঈদে গরুটি ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন খামারি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নারগিস খানম জানান, কোরবানি ঈদকে ঘিরে নরসিংদীতে ৭ হাজার ৮৮৭ জন খামারি ৮৭ হাজার ৮৮৮টি গবাদি পশু মোটাতাজা করছে।