কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাহফুজ খন্দকার, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ নদ-নদীগুলোর বৃদ্ধি পাওয়া পানি কমতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতি অপিরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজনের। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ৫ দিন ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নৌকা ও উঁচু স্থানে অবস্থান করলেও পড়েছেন শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার পূর্ব বালাডোবা, কালির আলগা, মুসারচর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পোড়ার চরসহ ১০টি চরে বসবাসকারী দুই শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে নৌকায় ও উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে নদ-নদীর অববাহিকার গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার প্রায় ১০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুপুর ১২টায় দেয়া তথ্য মতে জেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম সদরের ধরলার সেতু পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৮৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পুর্ববালাডোবার চরের আব্দুর রহমান জানান এই চরে ৪০০টি পরিবারের বসবাস। চরটি নতুন এবং নিচু হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ ঘর বাড়িতে কোমর সমান পানি উঠেছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গা ও নৌকায় বসবাস করছেন। নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় ঠিকমতো পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।