কেশবপুর শহরে একরাতে একাধিক দোকানে চুরি

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে একাধিক দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গত এক সপ্তাহের মধ্যে উপজেলার আরো ৫টি এলাকায় মোবাইল, ছাগল, সাইকেল, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মানুষ চুরি আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চোরেরা পৌর শহরের আমির হোসেন মার্কেটের আবদুর রশিদের নাসরিন টেলিকম থেকে ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা, চয়ন মিত্রের একাত্তর টেলিকম থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা, সত্যজিতের রংধনু ভিডিও থেকে ৫ হাজার ৭০০ টাকা, ভিগো শো-রুমের সাটারের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা ও পংকজ দাসের মুদি দোকান থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি করে। এছাড়া চোরেরা মাই ওয়ান শো-রুমের সাঁটার বেকিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। গত ১৬ জুন গৌরিঘোনা ইউনিয়ন থেকে দুটি ছাগল চুরি করে। গত ২০ জুন রাতে উপজেলার বাগদহা গ্রাম থেকে মোবাইল ও সাইকেল, মূলগ্রাম এলাকা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ ছাড়াও শহরের অনন্ত সড়কে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চুরি আতঙ্কে এলাকার মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শহরের ভিগো শোরুমের পরিচালক হাসানুর রহমান বলেন, ‘রাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার ভেতরে শোরুমের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা চুরি করেছে। অন্য মালামাল চুরির বিষয়টি এখনো বোঝা যাচ্ছে না।’ ঘটনা উল্লেখ করে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। কেশবপুর উপজেলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী, কেশবপুর শহরসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশের কোনো ভূমিকা না থাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনকের কারণে এ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখা দিয়েছে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতের খুঁজে বের করার জন্য আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয় সঠিক নয়।