স্বস্তিতে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছালে পুলিশেরও স্বস্তি : আইজিপি

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাগর আহম্মেদ, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, প্রতিবছর ঈদের আগে আমরা জনসচেতনতা কার্যক্রম ও আমাদের গৃহিত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য সিনিয়র কর্তকর্তারা সড়ক-মহাসড়ক পরিদর্শন করি। কারণ ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষ যথা সময় নির্বিঘ্নে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন। আমাদের স্বস্তির জায়গা হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে তাদের গন্তব্যে পাঠাতে পারি। এতেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য স্বস্তি বোধ করে।

তিনি গতকাল শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজি, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার সহ হাইওয়ে ও জেলা পুলিশের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ।

তিনি আরো বলেন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নৌ পরিবহন মন্ত্রনায়ল, সড়ক-মহাসড়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে মিটিং করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসকগন মিটিং করছে। আমরা গত ঈদুল ফিতরেও পরিশ্রম করে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রার ব্যবস্থা করেছিলাম। এটা সে সময় একটা চমৎকা ব্যবস্থা ছিল। সেটা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এবারও আমরা সেই প্রত্যয় নিয়ে এসেছি। সকলের সহযোগীতায় গত ঈদের মতো এবার কোরবানী ঈদেও সবাইকে নির্বিঘ্নে যথা সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো।

সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইজিপি বলেন, সরকার ঈদের ছুটি একদিন আগে বাড়িয়ে দিয়েছে। যাতে করে যাত্রীরা যথা সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারে। এক সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড়ে একটা রোড ছিল। সেসময় এক পাশ বন্ধ করে অপর পাশে দিয়ে গাড়ি চালাতে হতো। কিন্তু সরকার গুরুত্বপূর্ণ চন্দ্রা মোড়ে বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের অহংকার পদ্মা সেতু সরকার স্থাপন করেছে। যার কারণে সেখান দ্রুতগতিতে সকল যানবাহন চলে যাচ্ছে। মহাসড়কের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যার মাধ্যমে সকল রোডে যাত্রী সাধারণ যথা সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। এখনো সড়কের কার্যক্রম চলমান। এই সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ শেষ হলে এভাবে শত শত পুলিশের এতো পরিশ্রম করতে হবে না। জনসাধারন যথা সময়ে নির্বিঘ্নে দ্রুত চলে যেতে পারবে।