ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাপাহারে জমে উঠেছে আমের বাজার

সাপাহারে জমে উঠেছে আমের বাজার

উত্তরের বরেন্দ্র আমের রাজধানীখ্যাত জেলা নওগাঁ। জেলার সাপাহারে জমে উঠেছে আমের বাজার। উপজেলার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে গোডাউনপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই আমবাজার। প্রতিদিনি ভোর থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে আমের বেচাকেনা। ঢাকা, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিলেট, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়িরা আম কেনার জন্য এই বাজারে আসেন।

এ জেলার আম অত্যন্ত সুস্বাদু। ক্রেতাদের কাছেও মোটামুটি চাহিদা রয়েছে। জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার, পোরশা, ধামইরহাট ও নিয়ামতপুর উপজেলার কিছু অংশ বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। বছরে একটিমাত্র বৃষ্টি-নির্ভর ফসল আমন ধানের ওপর নির্ভর করতে হতো চাষিদের। পানি স্বল্পতার কারণে অন্যান্য ফসল চাষ করা সম্ভব হতো না। সেসব জমিতে ধানের আবাদ কমিয়ে চাষিরা ঝুঁকছেন আম চাষে। আম চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান গড়ে উঠেছে, যা থেকে প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভোর থেকে শুরু হয় আমপাড়া। এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভ্যান, ভটভটি ও অটোরিকশাযোগে চলে বাগানের আম চলে আসছে বাজারে। সাপাহার উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সাপাহার-নজিপুর সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে প্রখর রোদে আম চাষিরা বিক্রি করে অপেক্ষা করেন। দরদামের পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আড়তে।

উপজেলা প্রশাসনের বেধে দেয়া সময় অনুসারে, গত ২২ জুন বৃহস্পতিবার থেকে আমের রাজা আম্রপালি বাজারে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া হিমসাগর, ল্যাংড়া, নাগফজলি, চোষা, লখনা, কাটিমন, ব্যানানা, হাড়িভাঙা আম বাজারে সচরাচর পাওয়া যাচ্ছে। সাপাহারে প্রায় ২৩০টি আমের আড়ত রয়েছে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১২ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হচ্ছে।

আম চাষিরা জানান, এ বছরের শুরু থেকে ছিল অনাবৃষ্টি। এতে করে আম উৎপাদন করতে গিয়ে বাড়তি শ্রম ও অর্থ খরচ হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে গাছে যেমন আমের ফলন কম হয়েছে। অন্যদিকে আমের আকারও ছোট হয়েছে। তবে দাম ভালো থাকায় ঘাটতি কিছুটা কম হবে। এতে লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে আমের ওজন নিয়ে সিন্ডিকেট রয়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ালে আম চাষিদের জন্য সুবিধা হয়।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, এবারে এ উপজেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিদের কষ্টে উৎপাদিত আম বাজারজাত শুরু করেছে। দাম ভালো পেলে তারা লাভবান হতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত