কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মশলার বাজারে উত্তাপ

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মাসুদ রানা মনি, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কোরবানির ঈদ ঘিরে মশলার বাজারে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এক ধরনের সিন্ডিকেট ব্যবসায়িরা হঠাৎ করেই মশলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক দিন আগেও মশলার যে দাম ছিল, তা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এমনিতেই এবার অধিকাংশ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আর্থিক অসংগতির কারণে কোরবানি দিতে পারছে না। তার ওপর মশলার দ্বিগুণ দামে মনে হচ্ছে এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। গতকাল রোববার উপজেলার সোনাপুর বাজার, সমিতির বাজার, বালুয়া চৌমুহনী বাজার, লামচর বাজার, লক্ষ্মীধর পাড়া বাজার, টিওরী বাজার, ভাটার বাজার, দল্টাবাজারসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহ ১০ দিন আগেও যে পেঁয়াজ ছিল ৪৫-৫০ টাকা, বর্তমানে ১ কেজি পেঁয়াজের জন্য গুনতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। পাশাপাশি ২০০ টাকার আদা বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা, এলাচ গত ১০ দিন আগেও কেজি ছিল ১ হাজার ৫৫০ হতে ১ হাজার ৬০০ টাকা বর্তমানে এলাচের কেজি ২ হাজার ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি লং বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা, ৬০০ টাকার জিরা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ টাকা, গোলমরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৭৫০ টাকা, রসুন গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৯০ হতে ১০০ টাকা বর্তমানে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ হতে ১৫০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য জিনিসের দামও আকাশছোঁয়া। সোনাপুর বাজারের ক্রেতা মাহমুদ ফারুক জানান, যে কোনো একটা উছিলা পেলেই ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বর্তমানে মশলার দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজার দেখভাল করার কেউ না থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা মতো ক্রেতার পকেট কাটছে। যদি এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাজারের সঠিক তদারকি করে তাহলে হয়তো সাধারণ মানুষ কিছুটা রেহাই পেত।

অন্যদিকে ব্যবসায়ী সঞ্জয় বনিক, আবদুল আউয়াল, মাসুদ আলম, মোরশেদ আলম সহ অনেকই জানান, মশলার বাজার আমদানিনির্ভর, চট্টগ্রামের খাতুন গঞ্জের বড় বড় ব্যবসায়ীরা আমদানি করেন। তারা সেখানেই মশলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের করার কিছুই নেই।