রাত-দিন ব্যস্ত কামাররা

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আকরাম হোসেন রিপন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাত-দিন কঠোর ব্যস্ততম দিন কাটাচ্ছেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার কামাররা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, কামার একটি প্রাচীন পেশা যার কাজ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করা। পেশাগতভাবে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার্য লৌহজাত সামগ্রী তৈরি করেন তারা। অতি প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু সমাজের শূদ্র সম্প্রদায় গ্রামাঞ্চলে কামার পেশায় জড়িত। আগেকার দিনে অধিকাংশ ঘরবাড়ি এবং কৃষি-যন্ত্রপাতি কামারদের দ্বারা তৈরি হতো।

আগুনে পুগানো লোহার টুংটাং শব্দেই যেন বলে দিচ্ছে আর বেশি দিন বাকি নেই পবিত্র ঈদুল আজহার। ঈদ উপলক্ষ্যে কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া বাজার, বলধা বাজার, রানীগঞ্জ, টোক, বারিষাবসহ প্রায় সব বাজারেই লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্থানীয় কামাররা। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। কামাররা মনে করেন, কোরবানির ঈদকে ঘিরে সামনের সময়টা ভালো যাবে লাভবান হবে তারা। কাপাসিয়া বাজার এলাকার কামার শ্রমিক নিমাই এবং নারায়ণ জানায়, গত কয়েক বছর থেকে লোহার জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যবহিৃত কয়লা লোহা শান দেওয়ার পাথরসহ সব প্রকার জনিসের দাম বাড়তি। কাঁচামালের দাম বাড়লেও তৈরি পণ্য সেই অনুপাতে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা যাচ্ছে না তাই লোকশান গুনতে হচ্ছে তাদের। এবারের ঈদে বেচা বিক্রি ভালো তাই একটু লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন তারা। কামাররা জানান, ‘দা’ আকৃতি ও লোহা ভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। ‘ছুরি’ ১৫০ থেকে ৯০০ টাকা। হাড় কোপানোর ‘চাপাতি’ প্রতিটি ৩০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং পুরোনো ‘দা-বটি’ শান দিতে বা লবণ পানি দিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। উপজেলার আমরাইদ ও রাউনাট এলাকা থেকে কোরবানির ঈদে গরুর মাংস কাটার জন্য ছুরি ও চাপাতি কিনতে আসা পরভেজ মোহাম্মদ ও আক্তার পালোয়ান জানায়, অন্য বছরের তুলনায় এই বছর সবকিছুর দামের সাথে পাল্লা দিয়ে মাংস কাটার সামগ্রীর দামও অনেক বেশি নেয়া হচ্ছে। তবে আমরা সময়মতো জিনিসপত্র হাতে পেয়ে খুব খুশি।