ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস

ছেলে হারানো মায়ের আহাজারি

ছেলে হারানো মায়ের আহাজারি

নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে ফেনীতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাকক্ষে সভায় বিচারের দাবিতে ছেলে হারানো মায়ের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সভাস্থল। সারা দেশে গুমের শিকার হওয়ায় ব্যক্তিদ্বয়ের মা’দের নিয়ে সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ ও অধিকার, ফেনীর আয়োজনে সভায় সভাপতিত্বে করেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সময় পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। অধিকার, ফেনীর ফোকাল পার্সন সাংবাদিক নাজমুল হক শামীমের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার কর্মী শেখ আশিকুন্নবী সজীব।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গুমের শিকার হওয়া যুবদল নেতা মাবুবুর রহমান রিপনের মা রৌশন আরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি রবিউল হক রবি, সাপ্তাহিক স্বদেশপত্র পত্রিকার সম্পাদক এনএন জীবন, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ফেনীর সময়ের নির্বাহী সম্পাদক আলী হায়দার মানিক, বাংলাদেশ ইয়ুথ জানালিস্ট ফোরাম ফেনী শাখার সভাপতি ও দৈনিক অজেয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শাহজালাল ভূঁইয়া, সাপ্তাহিক স্বদেশকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর তানজিলা রহমান।

রিপনের মা রৌশন আরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হারালে তিনি অবশ্যই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেন। কিন্তু আমার মতো অভাগা মা গুমের শিকার হওয়া ছেলের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ৯ বছরেও মেলেনি বিচার। ৯ বছর আগে আমার ছেলে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেয়া হলেও মামলা নেয়নি থানা। আজো হসিদ পাইনি ছেলের।

নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতিসংঘ প্রণীত নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে এবং এই কনভেনশন অনুমোদনকারী প্রতিটি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে একটি শ্বাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়েছে। সেই অনুযায়ী ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) বিল ২০১৩’ জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। কিন্তু তারপরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে নির্যাতন ও নির্যাতনের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত