মৌসুমেও দুর্দিনে কামার পল্লি

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদের বাকি হাতে গোনা কয়েকদিন, তবুও ক্রেতা নেই। প্রতিবছর ঈদুল আজহার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই দম ফেলার ফুরসত মিলত না কামারদের। চাপড়, দা, বঁটি-ছুরি তৈরি, বিক্রি ও শাণ দিতে দিতেই দিন-রাত একাকার হয়ে যেতো তাদের। কিন্তু এ বছর আশায় গুড়েবালি। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা কামারদের আশঙ্কা এবার কোরবানিতে সবমিলিয়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারব কি-না সন্দেহ আছে। রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার, বনরুপাসহ বিভিন্ন এলাকার কর্মকারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ব্যস্ততা নেই কামারদের। দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকার পর এখন যা আয় হচ্ছে- তাতে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে তারা।

রিজার্ভ বাজারের পুলক কর্মকার ও বাদল কর্মকার জানান, ‘প্রতি কোরবানি ঈদের অন্তত একমাস আগে ছুরি-চাপাতি বানানোর অর্ডার নেয়া শুরু করি। ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা শুধু ঈদ উপলক্ষ্যেই বিক্রি করেছি। এবার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চারভাগের একভাগ মাত্র। নন্দন কর্মকার জানান, ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই দা, ছুরি, বঁটি, চাপড়, ঢেউ (বড় ছুরি) তৈরি করতাম। ভালো জিনিস পেতে অর্ডার দিতে হতো আরও একমাস আগে। আর আগে বানিয়ে রাখা মালগুলো বিক্রি শুরু হতো কোরবানির দুই সপ্তাহ আগে থেকে। কিন্তু এবছর তেমন কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পুরোনো ছুরি, বঁটি, চাপড় শাণ দিয়ে রাখছি বিক্রি করব।