আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর একদিনের ব্যবধানে ঈশ্বরদীর বাজারগুলোতে কেজিতে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। ঈশ্বরদী উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বাজারে এখন কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত রোববার হাট-বাজারে কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল সোমবার ঈশ্বরদী বাজার ও গ্রামের হাট-বাজারে কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সোমবারে ঈশ্বরদী বাজারে পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বেচাকেনা হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। মঙ্গলবার সকালে ১৪০ টাকা কেজি আর বুধবার দুইদিনের ব্যবধানে সকালে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার আড়মবাড়িয়া বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার বাজার থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনেছি। আজ এসে দেখছি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সোমবার ঈশ্বরদী পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দুইদিনের ব্যবধানে বুধবারে এসে শুনছি ২০০ টাকা কেজি। এটা কী মেনে নেওয়া যায়। ঈশ্বরদী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবেদ আলী বলেন, একদিনে কাঁচামরিচের দাম ২০০ থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী নাজমুল হক বলেন, এ অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি কাঁচামরিচ আমদানি হয় বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চল থেকে। বৃষ্টিপাতে অনেকের মরিচের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই দাম বাড়ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী খোকন আলী জানান, বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তবে এতটা দাম বেড়ে যাবে ভাবতে পারিনি। বর্ষাকালে এমনিতেই কাঁচামরিচে দাম বাড়ে; কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত শুরু না হতেই দাম বেড়ে গেল এটা বুঝতে পারলাম না।
