জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা)

কুমিল্লার তিতাসে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটগুলোতে মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর দাম চড়া। উপজেলার ১৩টি পশুর হাটের মধ্যে সোমবার অধিকাংশ হাটে কোরবানির পশুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে এবার উপজেলার ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে কালির বাজার, চরকুমারিয়া বাজার, জগতপুর বাজার, কড়িকান্দি বাজার, মাছিমপুর বাজার, কলাকান্দি বাজার, হরিপুর বাজার, দুলারামপুর বাজার, আসমানিয়া বাজার, জিয়ারকান্দি গোমতী নদীর উত্তর পাড়, গাজীপুর বাজার, দুধঘাটা বাজার ও সৎমেহেরে বিবি উজিরাকান্দি বাজার ও গাবতলী সরকার বাড়ি অস্থায়ী পশুর হাট। এদের মধ্যে ইজারাদার গাবতলী সরকার বাড়ি অস্থায়ী পশুর হাটটি বন্ধ রেখেছে।

এদিকে সোমবার উপজেলা সদর কড়িকান্দি বাজার, কালির বাজার, জগতপুর বাজার, আসমানিয়া বাজার, জিয়ারকান্দি গোমতী নদীর উত্তর পাড়, গাজীপুর বাজার ও দুধঘাটা বাজারে পশুর হাট বসে।

সরেজমিন কড়িকান্দি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ১টার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পশু বাজারটি কানায় কানায় ভরে যায়। হেঁটে, পি-ক্যাপ ভ্যানে ও ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থান থেকে এসব পশু বাজারে আনা হয়। সময়ে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। তবে এ বাজারে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। তবে বড় গরুর দাম চড়া। একটু বড় গরু হলেই লাখ টাকার উপরে দাম চাওয়া হচ্ছে।

বাজারের ইজারাদার মাহবুবু আলম ভূঁইয়া জানান, খামারিদের আমরা স্থান দিতে পারছি না। কষ্ট হলেও বেচাকেনা চলছে। আগামীকালও বাজারটি বসবে। এলাকার কৃষকদের গরু এ বাজারে বেশি উঠেছে।

কড়িকান্দি বাজারে পশু কিনতে আসা আ: রহিম ও মুকবুল হোসেন জানান, ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি। তবে একটু বড় হলেই লাখ টাকার উপরে চাওয়া হচ্ছে। মজিবুর রহমান জানান, বনিবনা হওয়ায় ৮০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি।

সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক সরকার জানান, আশপাশে একাধিক পশুর হাট বসার কারণে গাবতলী সরকার বাড়ি অস্থায়ী পশুর হাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, প্রতিটি হাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও টহল টিম প্রতিটি বাজার মনিটরি করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মোর্শেদ জানান, উপজেলার প্রতিটি বাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে ট্যাগ অফিসারদের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি বাজার মনিটরিং করে আসছি।