গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৪ বছরের এক শিশুকে হত্যার পর বনের ভেতর ফেলে রাখে অপহরণকারীরা। অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তারদের গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়। নিহত হলো- কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর এলাকার শামীম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মুসা ওরফে রাফি।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাফির বাবা শামীম সিএনজিচালক ও তার মা রাবেয়া খাতুন একজন পোশাক শ্রমিক। সে সুবাধে বাবা-মা দুজনই বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর রাফি প্রতিদিনের মতো তার বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় হঠাৎ করেই সে নিখোঁজ হয়। বেলা ১১টার দিকে তাকে দেখতে না পেয়ে চাচা আল আমিন তার বাবা-মাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা দুজনে আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শামীম হোসেন কালিয়াকৈর থানায় অবহতি করেন। এ ঘটনায় পাশের বাসার ভাড়াটে মহর আলী নামে একজনকে সন্দেহ করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে আটক করে সন্ধ্যায় পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তি শিশু রাফিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে মহরের দেওয়া তথ্য মতে, পুলিশ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই এলাকার বনের ভেতর থেকে রাফির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শামীম কালিয়াকৈর থানায় এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জালাল উদ্দিন নামে অপর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, শিশু রাফিকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দাবির প্রস্তুতি নেওয়া নিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ওই শিশু ডাক-চিৎকার করলে তার নাক, মুখ ও গলায় চেপে ধরে অপহরণকারীরা। এতে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হলে অপহরণকারীরা তাকে পাশের বনের ভেতরে ফেলে চলে যায়।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল জানান, শিশু হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।