ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাঁথিয়ায় মহিলাকে গলা কেটে হত্যা

সাঁথিয়ায় মহিলাকে গলা কেটে হত্যা

পাবনার সাঁথিয়ায় সেলিনা আক্তার নামের এক বিধবা মহিলাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরারা। নিহত সেলিনা উপজেলার শহিদনগর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী খান বিডিয়ারের স্ত্রী। এ ঘটনায় থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমিনপুর থানার রুপপুর ঘোষপাড়ার মৃত আব্দুর রহমান শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ নামের একজনকে আটক করেছে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার শহিদনগর পাইকরহাটি (বিশ্বাসপাড়া) গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শহিদনগর বিশ্বাসপাড়া গ্রামের বিডিয়ার আইয়ুব আলী খান প্রায় ১০ বছর আগে স্ট্রোক জনিত কারণে মৃত বরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর তিনি একাই ওই বাড়িতে থাকতেন। গত সোমবার বিকেলে সেলিনা আক্তার তার ছোট মেয়ে একই পাড়ার শারমিন আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন। এরপর রাত ৮টার দিকে তার মেয়ে তাকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে শারমিন তার স্বামী আলামিন হোসেন ও তার শ্বাশুড়িকে রাত সারে ৮টার দিকে তার মায়ের বাড়ি পাঠান। তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পান সেলিনা আক্তারের গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ তার শয়ন কক্ষে মেঝেতে পড়ে আছে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্বজন ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং থানা পুলিশকে খবর দেন। থানা পুলিশ রাত ১২ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের মেজ মেয়ে যুথি পারভিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-২৮, তারিখ ২৭-০৬-২০২৩ইং। নিহত সেলিনা আক্তারের মেয়ে যুথি পারভীন বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর মা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন। ডায়াবেটিস চেকাপের জন্য আমার মা সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে যেতেন। সেখানে রক্ত সংগ্রহ বিভাগের আব্দুর রহিম শেখ নামের একজনের সাথে মায়ের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে আব্দুর রহিম বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমাদের বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন এবং মায়ের ডাক্তার দেখানোসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে দিতেন। আমরা সেটা ভালো চোখে দেখিনি। আমার মায়ের হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত থাকুক আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি চাই। সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রফিকুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই লাশ উদ্বার করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন আব্দুর রহিম শেখ নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যার মূলরহস্য উৎঘাটন করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ওইদনি রাতে এডিশনাল এসপি বেড়া সার্কেল কল্লোল কুমার দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত