ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ট্যানারি সিন্ডিকেটে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা

ট্যানারি সিন্ডিকেটে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে কোরবানির চামড়ার দাম। অথচ একই সময়ে বেড়েছে জুতা-স্যাণ্ডেলসহ সব ধরনের চামড়াজাত পণ্যের মূল্য। এক দশক ধরেই বিশেষ সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কোরবানিদাতা ও মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো। গত ক’বছর ধরে ঈদুল আজহায় ন্যায্যমূল্য তো দূরের কথা, চামড়া কিনতে বহু এলাকায় ক্রেতারই খোঁজ মিলছে না। এমন অবস্থায়, চামড়া পাচাররোধে সাতক্ষীরার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে এ বছর সরকার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা করেছে। বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম বাড়লেও দেশের চামড়ার বাজার সম্প্রতি চীনকেন্দ্রিক ও প্রতিযোগিতাহীন হয়ে পড়ায় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। চামড়ার পড়তি দরের পেছনে একদল সিণ্ডিকেটের কারসাজিরও অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সাধারণ সম্পাদক শেখ ওলিউর রহমান জানান, কাঁচা চামড়া সংগ্রহের বড় একটি মোকাম সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা। এখানে ব্যবসায়ীরা সারা বছর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে ট্যানারিতে সরবরাহ করে থাকে। সারা বছরের কাঁচা চামড়ার বিশাল একটি অংশ কোরবানির ঈদে সংগ্রহ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে চামড়া শিল্পে বিপর্যয় নেমে আসে। তিনি আরো জানান, গত বছর থেকে হঠাৎ করে চামড়ার দাম পরে যাওয়ায় কাঁচা চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা ও নদীতে ফেলে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত