ঢাকায় গরু বিক্রির ১৪ লাখ টাকা নিয়ে পাঁচ ব্যবসায়ী বাড়ি ফেরার পথে ডাকাতদলের কবলে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনায় ৯ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। গত রোববার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন- মো. ইনসানুল, মো. আরিফ, মো. মিঠুন, মো. শাহ আলম, মো. রুবেল, মো. সোহাগ, মো. সুজন, মো. রেজাউল এবং মো. রসুল। পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান জানান, বগুড়া থেকে ১৫টি গরু নিয়ে পাঁচ ব্যবসায়ী ঢাকা আফতাব নগরের হাটে আসেন। হাটে গরু বিক্রি করে তারা একটি ট্রাকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ট্রাকে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের ডাকাত বলে পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গরু বিক্রির টাকা নিতে চায়। টাকা না দিলে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ডাকাতদল ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা গরু বিক্রির টাকা জোর করে নেয়ার চেষ্টা করলে তারা টাকা দিতে না চাইলে ডাকাতদলের সদস্যরা তাদের গামছা ও লুঙ্গি দ্বারা তাদের দু-হাত, দু-পা বেঁধে ফেলে ও মুখে স্কসটেপ দিয়ে আটকিয়ে ট্রাকের ভেতর ফেলে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা গরু বিক্রির নগদ ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় শহিদুল ইসলাম নামে অপর ব্যবসায়ীর কাছে থাকা গরু বিক্রির টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডাকাতদল। পরে বুধবার রাতে তার মরদেহ বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে আগ্রান ফিলিং স্টেশনের পশ্চিমে ৮নং ব্রিজের কাছে ফেলে দেয়। এছাড়াও আ. সালাম নামে অপরজনকে চাটমোহরগামী রাস্তায় হান্ডিয়াল নামক স্থানে ভাঙ্গা ব্রিজের সামনে চলন্ত ট্রাক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দেয়। অপর তিন ব্যবসায়ী মো. নূর আলম, মো. রেজাউল করিম, মো. ইউনুছ আলীকেও ফেলে দেয়। পরে পুলিশ হত্যার রহস্য ও টাকা উদ্ধারে অভিযানে নামে।
