শ্যামনগরে রোগাক্রান্ত পশু জবাই

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা

পরীক্ষা ছাড়াই জবাই করা পশুর মাংস শ্যামনগরের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ভেটেরিনারি সার্জনের পরীক্ষার পর পশু জবাই করার নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন রোগ ও ভাইরাসে আক্রান্ত পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে কিনা তা অজানাই থাকছে। অপরদিকে কসাইখানা না থাকায় এবং নিয়ম না মেনেই যে যার মতো যেখানে খুশি পশু জবাই করছে। পশু জবাইয়ের পর যেখানে-সেখানে বর্জও ফেলা হচ্ছে। এতে ক্ষতিকর হয়ে উঠছে এখানকার পরিবেশ। এছাড়া প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে পশু জবাইয়ের পর পশুর পেটে বাচ্ছা, বাচ্ছা ফেলে দিয়ে সেই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ অহরহ। সে কারণে কসাই ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও করতে দেখা যাচ্ছে। এলাকাবাসী এসব মাংস ধরে সেনেটারি পরিদর্শককে খবর দিলে তাৎক্ষণিক বন্ধ রেখে আবার সেই মাংস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। শ্যামনগরে নির্দিষ্ট কোনো কসাইখানা নেই। ফলে যত্রতত্র পশু জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে কসাইখানা নেই, এমন অনিয়ম চললেও দেখার কেউ নেই। স্যানিটেশনের ব্যবস্থা কোনো মাংসের দোকানে নেই।

শহরের হায়বাতপুরের এক বাসিন্দা বলেন, বাজারে মনিটরিং না থাকায় যে যার মতো করে মাংস বিক্রি করছে। রোগাক্রান্ত গবাদি পশুর মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া মাংস ওজনও কম দেওয়ারও অভিযোগ অহরহ। এসব প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের যথাযথ কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। পশু জবাইয়ের আগে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ অধিপ্তেেরর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা উচিত। দুইজন মাংস ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নকিপুর তরকারি বাজারের পাশে পশু জবাই করার জন্য জায়গা নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু সেখানে পশু জবাই করা বন্ধ রয়েছে। কোথায় জবাই করা হচ্ছে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানান, নিজ বাড়িতে অথবা আশপাশে কোথাও পশু জবাই করে মাংস বাজারে এনে বিক্রি করা হয়। জবাই করার আগে কোনো ডাক্তার পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কিনা, জানতে চাইলে তারা জানান, কোনো ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা নিজবাড়িতে খালের পাড়ে মনগড়াভাবে জবাই করা হচ্ছে। পশু জবাই ও মাংস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কাগজে কলমে থাকা আইনের প্রয়োগ না থাকায় মাংস ব্যবসায়ী যে যার মতো পশু জবাই ও বাজারে মাংস বিক্রি করছে। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন।