ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বগুড়া পৌরসভায় চালু হলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র

বগুড়া পৌরসভায় চালু হলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র

বগুড়া পৌরসভার নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে এক যুগ বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের সূচনার মাধ্যমে বগুড়ায় চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পুনরায় চালু হচ্ছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে। বগুড়া পৌরসভার নেতৃত্বে এবং এলএইচএসএস প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায়, লাইট হাউসের এবং বগুড়া পৌরসভা সমন্বিতভাবে পৌর এলাকায় সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগের অধীনে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো সাধারণ চিকিৎসা, প্রতিরোধমূলক সেবা, টিকা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রাথমিক ডায়াগনস্টিক সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা সরবরাহ করবে। কেন্দ্রগুলো স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হবে। লাইট হাউস প্রধান নির্বাহী মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বগুড়া পৌর সভার নাগরিকবৃন্দের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যা স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। ডা. আসমা হক, প্রতিনিধি, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বগুড়া বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দরিদ্র মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। এই উদ্যোগ দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডা. সাজ্জাদ হোসাইন, প্রতিনিধি জেলা সিভিল সার্জন বলেন, দরিদ্র ও পিছিয়েপড়া মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে গৃহীত পৌরসভার এ উদ্যোগ সফল করতে পৌরসভার সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়ার্ল্ড হেলফ অরগানাইজেশন, প্রতিনিধি ডা. তারিক রেজা বলেন, পৌরসভা উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে বন্ধ থাকা সেবাকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করা সম্ভব হতে যাচ্ছে। এই সেবাকেন্দ্রগুলোর সেবার ক্ষেত্রে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।

বগুড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামীণ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসনের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেখান থেকে গ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠী অতি সহজেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকে। আমার ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি একযুগ ধরে বন্ধ থাকায় এলাকার দুস্থ, অবহেলিত মানুষরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পুনরায় চালু হবে জানতে পেরে তারা স্বস্তিবোধ করছে। এই প্রাথমিক কেন্দ্রটি স্থানীয় জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে। বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা জানান, বগুড়া পৌরসভা এলাকায় সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম কার্যকর থাকলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেয়া অত্যন্ত দূরুহ। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বগুড়া পৌরবাসী বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকতর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ২৫ শতাংশ দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পৌরবাসী এই সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও রোগ নির্ণয় সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এলএইচএসএস প্রকল্পের কারিগরি সহায়তার কারণে বন্ধ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো পুনরায় সচল করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে পৌরবাসীর দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত