ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেত্রকোনায় বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে উফদাখালী নদীর পানি

নেত্রকোনায় বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে উফদাখালী নদীর পানি

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে নেত্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ভারতীয় সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার উফদাখালী নদীর পানি। এই উপজেলার মহাদেও, বৈঠাখালী, গনেশ্বরী, মঙ্গলেশ্বরী এবং পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী, কংস প্রভৃতি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে। এতে কলমাকান্দা উপজেলার সম্পূর্ণ এবং দুর্গাপুর, পূর্বধলা, নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলার বিশাল এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা নেত্রকোনার উজানে (উত্তর দিকে) ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা উপজেলা। এই দুটি উপজেলা প্লাবিত হলে ক্রমশ ভাটির দিকের উপজেলাগুলো আক্রান্ত হয়। এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার সুরমার শাখা ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এরই মধ্যে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলার বিশাল এলাকায়ও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিভন্ন সূত্র জানায়, পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল ও প্রায় সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ভারতীয় সীমান্তবর্তী নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ডুবুডুবু অবস্থায় রয়েছে। দুর্গাপুর, কলমাকান্দা উপজেলা সদরের নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, কলমাকান্দা সদর পয়েন্টে উফদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান বলেন, আসামের চেরাপুঞ্জিতে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে নেত্রকোনার ভারতীয় সীমান্তবর্তী নদ-নদী কলমাকান্দা উপজেলার উফদাখালী, দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী, কংস এবং সুনামগঞ্জ জেলার সুরমার শাখা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরি উপজেলার ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজিব উল আহসান ও কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে। এরই মধ্যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত